হল ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে ঢাবি প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লোগো  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘এখনো আমাদের মধ্যে মিটিং চলছে, তবে খুব দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

অন্যদিকে, রোকেয়া হলসহ অন্যান্য মেয়েদের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে চলছে হল প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা।

রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী জানায়, ‘হল প্রশাসন সেন্ট্রালের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছে। তবে ছাত্রীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজকে হল থেকে যাবে না। ছাত্রদল যেই ৮ জনের রোকেয়া হলের কমিটি প্রকাশ করেছে, তাদের আজকের মধ্যেই ক্ষমা চাইতে হবে। সেইসঙ্গে হল প্রশাসনকে আজকের মধ্যেই তাদের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দিতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ওই আট জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’

এর আগে, দুপুরে রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা ৪টি প্রধান দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন। তাদের দাবিগুলো হলো:

১. রোকেয়া হলকে প্রকাশ্য ও গোপন—সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করতে হবে।
২. নির্বাচিত হল সংসদ কমিটি ব্যতিত কোনও রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন হলে ভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করলে তাদের আবাসিক সিট বাতিল করা হবে।
৩. ছাত্রদল, বাগছাস, শিবির, ছাত্রীসংস্থা, ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) সহ সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন কোনও রকম গোপন কমিটি দিতে পারবে না, প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের সিট বাতিলসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪. ১৭ জুলাইয়ের স্মারকলিপিতে স্মারক নাম্বার বসিয়ে আইনী ভিত্তি তৈরি করতে হবে এবং প্রভোস্ট, হাউজটিউটর ও কর্মচারীসহ হল কর্তৃপক্ষের মধ্যে যদি কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে মেয়েদের সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।


সর্বশেষ সংবাদ