সেই রিকশাচালকের হাতে ‘দাঁড়িপাল্লা’, চিত্রশিল্পীর ব্যাখ্যা

চিত্রকর্ম
চিত্রকর্ম  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ‘জুলাই বিপ্লবের’ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত চারুকলা প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত চিত্রকর্ম নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীতে একটি চিত্রকর্মে আলোচিত রিকশাচালকের ছবির সঙ্গে দাবার ছক ও দাঁড়িপাল্লা যুক্ত থাকায় তা ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

তবে শিল্পী ও আয়োজকরা দাবি করছেন, চিত্রকর্মে থাকা দাঁড়িপাল্লাটি ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একাংশের মতে, এটি ইতিহাস বিকৃতির শামিল। বিশেষ করে, ২০২৩ সালের জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে যিনি রিকশার ওপর দাঁড়িয়ে স্যালুট দিয়েছিলেন, সেই রিকশাচালকের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সঙ্গে দাঁড়িপাল্লা সংযুক্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসীন এক ফেসবুক পোস্টে প্রদর্শনীর তীব্র নিন্দা জানান।

অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের চবি শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করেন, ছবিটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিকৃত করা হয়েছে। তার ভাষায়, 'মূল ছবিতে দাঁড়িপাল্লা ছিল না। এখন দাঁড়িপাল্লাকে জামায়াতের প্রতীক বানিয়ে আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ ক্যাম্পাসে আমরা কোনো রাজনৈতিক প্রচারণাই করি না।'

চিত্রকর্মটির শিল্পী মেহেদী হাসান শুভ্র বলেন, “লেডি জাস্টিস ভাস্কর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাজটি করেছি। জনগণের হাতে বিচার প্রতিষ্ঠার একটি রূপক চিত্র এটি। এর সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বার্তা জড়িত নয়।”

প্রদর্শনীর আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী জানান, রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি তারা দেখেননি এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা শিল্পীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে যেহেতু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, আমরা রাতেই এ বিষয়ে একটি বৈঠক ডেকেছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন জানান, প্রদর্শনীতে প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। শিক্ষার্থীরা নিজেরা প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে এসব শিল্পকর্ম জমা দিয়েছিল।

 


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!