জাবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, জাবি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, জাবি  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালসহ চারটি হলের নাম পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এই প্রস্তাবনা করে সংগঠনটি।

স্মারকলিপিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আন্দোলন একই মুক্তির বোধ থেকে উৎসারিত। ৭১ ও ২৪ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একই মুক্তির বোধের পরিচায়ক। তাই বঙ্গবন্ধুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন, তাকে অস্বীকার করে ৭১ ও ২৪ কে প্রতিদ্বন্দ্বীর অবস্থানে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা। যা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী ‘রেজিমেরই’ মনোবৃত্তি।’ 

আরও বলা হয়, ‘এই অপচেষ্টা পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে যাবে। আমরা সর্বকালের (৭১ থেকে ২৪) মুক্তির বোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীলরা তা হতে দিতে পারি না। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান এর মুক্তিকামী বোধের প্রতি সম্মান জানিয়েই আমাদের এই প্রস্তাবনা। তাই, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পুনর্বহালের প্রস্তাবনা ব্যক্ত করছে।’

এতে আরও তিনটি হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের দাবি জানান তারা। এগুলো হলো- শেখ রাসেল হলের পরিবর্তে লালন শাহ হল অথবা কাঙাল হরিনাথ মজুমদার হল, শেখ হাসিনা হলের পরিবর্তে কাঁকন বিবি হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে চন্দ্রাবতী হল।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক যাত্রা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর দৃঢ়ভাবে নিহিত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের নামকরণে বহুমাত্রিক সংস্কৃতি, মনন ও শিল্পবোধের প্রতিফলন থাকা জরুরি। যার লক্ষ্যে সংস্কৃতিজনদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের জন্যই আমাদের এই প্রস্তাবনা। তাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, নারীর সাহসিকতা, সাহিত্যচর্চার ঐতিহাসিকতা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গির দিকগুলো বিবেচনা করে নামকরণের এই দাবি জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভাঙা নয়, মূল নকশায় ফিরছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ভাস্কর্যটি 

এর আগে গত ১৭ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় উক্ত হলগুলোর নাম স্থগিত করা হয় এবং গত ২৭ মে হলসমূহের নতুন নামের প্রস্তাবনা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ