ঢাবির মোট বাজেটের ২ শতাংশ গবেষণা খাতে, শিক্ষক প্রতি বরাদ্দ ১ লাখ!

  © সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ সর্বোচ্চ ৬৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গবেষণা খাতে মোট বাজেটের ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ বাজেট উপস্থাপন করেন। ৪র্থ বারের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি।

এসময় চলমান বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য উপস্থাপিত বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ; গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ২০ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা মোট ব্যয়ের ২.১২ শতাংশ।

বাজেটে বলা হয়, মোট বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে পাওয়া যাবে ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা। এতে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫.৩৭ শতাংশ। 

এসময় লিখিত বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের গবেষণা বাবদ ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর হতে ৫ কোটি টাকা বেশি। উদ্ভাবনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে নূতন নূতন উদ্ভাবন প্রয়োজন। প্রচুর অর্থ ব্যয় ব্যতীত এ ব্যাপারে সাফল্যমন্ডিত হওয়া দিবাস্বপ্ন মাত্র। গবেষণার জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যাপ্ত নয়। বিশ্বাবিদ্যালয়ে ২০০০ এর বেশি শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রত্যেকের জন্য গড়ে গবেষণা বাবদ বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। এই অর্থ দ্বারা বড় ধরণের মৌলিক গবেষণা আদৌ কি সম্ভব?

তিনি আরো বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং নিয়ে অনেক আলোচনা শুনতে পাই। র‍্যাংকিং উন্নত করতে হলে প্রয়োজন গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা। এই খাতে বাজেট বরাদ্দ বহুলাংশে বৃদ্ধি করলে আমরা কাঙ্খিত ফলাফল পাব বলে আমার বিশ্বাস।


সর্বশেষ সংবাদ