সহকর্মীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ চবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলেছেন তারই সহকর্মী অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম। সোমবার (১৩ মে) অনুষ্ঠিত ইতিহাস বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তবে অধ্যাপক মাহবুবুলের দাবি, এমন অভিযোগটি সঠিক নয়।

ঘটনার পর ওইদিনই অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগপত্রটি জমা দেন। গতকাল সোমবার অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হলেও আজ বিষয়টি জানাজানি হয়।

অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষক উল্লেখ করেন, অ্যাকাডেমিক কমিটির সভার দ্বিতীয় আলোচ্য সূচিতে ২০২৩ সালের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা কমিটিসমূহ গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক নিজ থেকে এম. এ. শ্রেণির পরীক্ষা কমিটি গঠন করে দেন। ওই কমিটির ব্যাপারে আমি কোনো বক্তব্য না দিলেও তিনি বিনা কারণে আমাকে এবং আমার পরিবার (আমার স্ত্রী ফারহানা আজিজ, সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চবি) নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন।

তিনি উল্লেখ করেন, আমি আগে থেকে অ্যাকাডেমিক কমিটির মাধ্যমে এম. এ. ক্লাসে ৫০৪ নং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস কোর্সটি পাঠদান করিয়ে আসছি। ২০২২-২৩ সেশনে আমাদের দুইজন শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মাসুম ও অধ্যাপক ড. শওকত আরা বেগম ছুটিতে গেলে তাদের ২টি কোর্সের মধ্যে ৫০২ নং কোর্সটি আমাকে সাময়িকভাবে (আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও) পাঠদানের অনুরোধ জানালে বিভাগের স্বার্থে আমি রাজি হই। অপর কোর্সটি অনেকটা জোরপূর্বক ফারহানা আজিজকে দেওয়া হয়।

‘‘ড. মাহবুবুল হক হঠাৎ করে এম. এ. শ্রেণিতে আমাদের কোর্স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং কোর্স পাঠদানের কারণে আমাদের ওই শ্রেণিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজের বৈধতা নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলেন।’’

অভিযোগ পত্রে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম লিখেন, তিনি প্রায় সময় বিনা কারণে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন এবং সুযোগ পেলেই আমাদেরকে অপমানিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ধৈর্যধারণ করেছি। কিন্তু তার অন্যায় আচরণ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ অ্যাকাডেমিক কমিটিতে সবার সামনে তিনি আমাদেরকে অপমান করেছেন। আমি তার এরকম অশালীন আচরণের প্রতিকার দাবি করছি।

তবে এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের। তিনি বলেন, তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়। মাস্টার্সে ছয়টি কোর্সের মধ্যে তিনটি কোর্স তারা স্বামী- স্ত্রী দুইজনে পড়ান। আর পরীক্ষা কমিটিতে যদি তাদের দুই জনকেই রাখা হয়, সেখানে শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিয়ে ভয়ে থাকবে। যার কারণে আমি বললাম আপনাদের দুইজনকে একসাথে পরীক্ষা কমিটিতে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, উনাদের এ কথা বলে আমার কিছু কাজ থাকায় আমি চলে এসেছি। আমার কথার মধ্যে এই শব্দটিকে (রাখা যাবে না) হয়ত তারা অপমান হিসেবে নিয়েছেন। আমার জানা মতে, এর থেকে আর বেশি কিছু আমি বলিনি।


সর্বশেষ সংবাদ