চবি শিক্ষক সমিতির বিদায়ী অনুষ্ঠান, একাংশের নিন্দা 

  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (চবিশিস) ২০২৩ কার্যনির্বাহী পরিষদ আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ও নবাগত শিক্ষকদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন চবি শিক্ষক সমিতির একাংশ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) চবি শিক্ষক সমিতি- ২০২৪ নির্বাচনী জোটের নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক সমিতির একাংশ 'বিদায়ী ও নবীন শিক্ষকদের সম্মাননা ও সংবর্ধনা' নামে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল) ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রগতিশীল সাধারণ শিক্ষক সমাজ এর পক্ষ থেকে জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

বর্তমান শিক্ষক সমিতি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ৭ তারিখ মেয়াদোত্তীর্ণ হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, এরপর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে। আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে গত ২৫ এপ্রিল অগ্রিম ভোট পর্যন্ত গ্রহণ হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে শিক্ষক সমিতি নতুন শিক্ষকদের বরণ করা এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান করার জন্য একদিন সময় ম্যানেজ করতে পারেন নাই; তাই, নির্বাচনের একদিন আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আড়াই মাস পর এভাবে তড়িঘড়ি করে অনুষ্ঠান করা শিক্ষক সমিতির এখতিয়ার বহির্ভূত এবং অত্যন্ত অশোভন। আমরা শিক্ষক সমিতির এ অশোভন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনেক বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে বিদায়বেলায় একটু সম্মানজনকভাবে বিদায় নেয়ার ও সম্মাননা পাওয়ার অধিকার সকল শিক্ষকের আছে। কিন্তু এভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর বিতর্কিতভাবে বিদায়ী শিক্ষকদের সম্মাননা দেয়ার আয়োজন তাঁদেরকে রীতিমতো অসম্মান করার সামিল। এছাড়াও এ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সবাইকে "অযোগ্য শিক্ষক" বলে অপমান করে প্রকাশ্যে মিডিয়াতে বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজের বৃহত্তর অংশের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ এবং কষ্ট বিরাজ করছে। যে শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের ভোটে নির্বাচিত শিক্ষক সমাজের অধিকার এবং সম্মান রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের কাছ থেকে এ ধরণের অপমান প্রাপ্তির পর লোক দেখানো এবং আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে প্রভাবিত করার প্রয়াসে আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সমীচীন কি না বিষয়টি সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ গভীর মনযোগের সাথে ভেবে দেখবেন বলে মনে করি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence