ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন আরও কমিয়ে আনা হতে পারে: উপাচার্য

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল  © টিডিসি ফটো

সক্ষমতা বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আসনসংখ্যা আরও কমিয়ে আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। শনিবার ২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় বলতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সক্ষমতা সেই সক্ষমতাকে বিবেচনায় রেখেই ভর্তি পরীক্ষায় আমরা কতজন ভর্তি করাবো সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা এই সংখ্যাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও এ সংখ্যা আরও যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ আসনসংখ্যা কমানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের পর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ১ হাজার ১১৩টি আসন কমায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির পাঁচটি ইউনিটের অধীনে মোট আসন ছিল ৭ হাজার ১৪৮টি। কমিয়ে সে সংখ্যা করা হয় ৬ হাজার ৩৫টি। এর আগে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পাঁচটি ইউনিটে মোট আসন ছিল ৭ হাজার ১১৮টি।

শনিবার ঢাবির আন্ডার গ্রাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ২য় দিনে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ৩৭ হাজার ৬৭৯ জন শিক্ষার্থী। আসন প্রতি প্রায় ৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

ভর্তি পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে এসে ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ৫০টির মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন যাতে করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে না পারলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নিতে পারে। 

তিনি জানান, এবার ঢাকার মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে ২৬ হাজার ১১০ জন শিক্ষার্থী এবং ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সার্বিক সহায়তা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মোহাম্মাদ আব্দুল মঈনসহ আরও অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ