ক্লাস বর্জন করে ঢাবির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের তুলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। এসময় চেয়ারপারসনের অফিস থেকে একাধিক শিক্ষক এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল ধরনের যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আজ থেকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছি।

বিভাগের ১৬তম ব্যাচের এক ছাত্রী বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগকে আমরা নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুরক্ষিত একটি বিভাগ হিসেবে নিশ্চিত করতে চাই। বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানা যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরবো না।

বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। এগুলো হলো- অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে আনা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে; যৌন নিপীড়ককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাস্তির আওতায় আনতে হবে; তদন্ত চলাকালে বা অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরত রাখতে হবে।

এদিনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম, ১৪তম, ১৫তম, ১৬তম ও ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক নাদির নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। পরে তার নিজের কক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ সংবলিত একটি পোস্টার ঝুলিয়ে দেন।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর প্রমাণাদিসহ যৌন হয়রানির অভিযোগপত্র দায়ের করেন। মূলত ওই ছাত্রীর অভিযোগের পর পরই শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়া অধ্যাপক নাদির গেল কয়েকদিন থেকে বিভাগটির একটি ব্যাচের রেজাল্ট নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ