ঢাবি গ্রন্থাগারে আইডি ছাড়া প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে, বসছে ই-গেট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গ্রন্থাগারে অছাত্র এবং বহিরাগত প্রবেশের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই। এ কারণে অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর চাপে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থীই তাদের নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারেন না। এমন সমস্যা নিরসনে এবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বিজ্ঞান গ্রন্থাগারে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) গেট বা ই-গেট চালু করছে ঢাবি প্রশাসন। 

এই পদ্ধতি চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট পরিচয়পত্র ছাড়া গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারবে না কোনো শিক্ষার্থী। ফলে অছাত্র কিংবা বহিরাগত কেউ আর গ্রন্থাগারগুলোতে পড়াশোনার জন্য প্রবেশ করতে পারবে না। আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ নাগাদ এই ই-গেট চালু হতে পারে বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে, সকাল ৮টায় গ্রন্থাগারের গেট খোলা হলেও এর অনেক আগে থেকেই তাদের লাইন ধরতে হয়। তা না হলে জায়গা পাওয়া যায় না। এছাড়া গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে গত নভেম্বরে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারের আসন বাড়ানোসহ শৃঙ্খলা আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘অ্যাকসেস কন্ট্রোল গেট’ স্থাপনে ছয় সদস্যের একটি কমিটি কমিটির সুপারিশক্রমে গ্রন্থাগারগুলোতে ই-গেট চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে যত্রতত্র দেয়াল লিখন-পোস্টার ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে প্রশাসন

জানা যায়, কয়েক বছর আগেই ঢাবির গ্রন্থাগার দুটিতে আরএফআইডি গেট স্থাপন করা হয়। তখন গ্রন্থাগারগুলো থেকে আলাদা করে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে সেই গেটের কার্যক্রম চালু হয়নি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে স্মার্ট কার্ড দেওয়া শুরু করে শিক্ষার্থীদের। এই স্মার্ট কার্ডে পাঠযোগ্য ডিভাইস সংযুক্ত করে আরএফআইডি গেট চালু করবে প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, গ্রন্থাগারে একটি সিট পাওয়ার জন্য ভোর থেকে লাইন দিয়েও অনেকে সিট পান না। ই-গেট চালু হলে গ্রন্থাগারের আসনসংখ্যা নিয়ে যে সমস্যা আছে, সেটি কমে যাবে। এ ছাড়া ঢাবির গ্রন্থাগারগুলোতে নিয়মিত যাঁরা পড়তে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই চাকরিপ্রার্থী। এর মধ্যে অনেকেরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ। ই-গেট চালু হলে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। ফলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

কমিটির আহ্বায়ক ও ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী বলেন, গ্রন্থাগারের পরিবেশসহ সার্বিক বিষয়গুলো উন্নত করার অংশ হিসোবে ই-গেট চালু করা হচ্ছে। এটি চালু হলে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। 


সর্বশেষ সংবাদ