ঢাবির হল রুমের তালা ভেঙে দিয়েছে ছাত্রলীগ, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থী

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থীর রুমের তালা শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভেঙে দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টির বিস্তারিত বিবরণ হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে আসতে অপরাগতা প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষার্থীর।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ১০টার দিকে হলের ১০৩ নম্বর রুমে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের হল সভাপতি তানভীর শিকদারের অনুসারী বলে জানা যায়। তবে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তালা ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম মাহাদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়া তিনি দৈনিক যুগান্তরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সম্প্রতি হলের প্রাধ্যাক্ষ হাউস টিউওয়রের মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ১০৩ নম্বর রুমে তুলে দেওয়া হয়। তবে আজকে দুপুরে তানভীর সিকদারের দুজন অনুসারী ওই রুমে উঠতে চান।

তারা বলেন, প্রাধ্যাক্ষ স্বয়ং তাদের ওই রুমে উঠতে বলেছেন। তবে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান প্রাধ্যক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তাদের রুমে তোলার ব্যাপারে তিনি জানেন না বলে জানান। পরবর্তীতে মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রুমে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে ফিরে এসে তার রুমের তালা ভাঙা দেখতে পান।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, আমি সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে রুমে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। এসময় আমি একজন শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করে সাড়ে দশটার দিকে হলে ফিরেছি। এসে দেখি আমার রুমের তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগের হল সভাপতি তানভীর সিকদারের দুজন অনুসারী আমার রুমের তালা ভেঙেছে। যারা পূর্বে আমার রুমে উঠতে জোর-জবরদস্তি করেছিলো তারাই এ কাজ করেছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার বলেন, যে দুজন শিক্ষার্থী ওই রুমে উঠতে চেয়েছিলো, তারা বর্তমান ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা। এ অভিযোগটি আমি শোনার পরে তাদের কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা তালা ভাঙার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে এটি একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিলো।

জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি মাত্র ক্যাম্পাস থেকে বাইরে এসেছি। আমি এখন আসতে পারবো না। আমি একজন হাউস টিউটর পাঠাচ্ছি, তিনি বিষয়টি দেখবেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence