স্বাস্থ্যবীমার টাকা দিতে গড়িমাসি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির, ভোগান্তিতে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- জোবায়ের হোসাইন, ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ভর্তির সময় স্বাস্থ্যবীমার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানেন না কী এই স্বাস্থ্যবীমা বা এর কাজ কী? অন্যদিকে, যারা এই স্বাস্থ্যবীমার জন্য আবেদন করেছেন, নির্দ্দিষ্ট সময় পর তারা এর সুবিধা তো পাচ্ছেনই না বরং টাকা চাইতে গিয়ে অনেক সময় হয়রানি শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, চুক্তি অনুযায়ী যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিষয়টির সঙ্গে জড়িত। কর্তৃপক্ষ বক্তব্য, যেই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল এক সময় তারা ঠিকঠাকভাবেই শিক্ষার্থীদের টাকা দিত। কিন্তু বর্তমানে তারা গড়িমাসি করছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এভাবে চললে আগের ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নতুন কোন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সঙ্গে চুক্তি করতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্যবীমা বিষয়ে দায়িত্বরত সহকারী হিসাব পরিচালক ছানোয়ার হোসেন।
যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের কাছে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান। (ফাইল ছবি)
জানা যায়, ২০২১ সালের শেষের দিকে নিয়মিত সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা প্রকল্পের আওতায় আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে সময় বলা হয়েছিল, “প্রতিবছর ভর্তির সময় এককালীন ২৭০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমাসুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা ২৮ বছর অতিক্রম করলে কিংবা ছাত্রত্ব শেষ হলে এ সুবিধা পাবেন না।”
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ঢাবি শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
স্বাস্থ্যবীমার আওতায়, প্রত্যেক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বীমা সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে হাসপাতালে থাকাকালীন কেবিন বা ওয়ার্ড ভাড়া, হাসপাতাল সেবা, অস্ত্রোপচারজনিত ব্যয়, চিকিৎসকের পরামর্শ ফি, ওষুধ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিল বাবদ দৈনিক সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা চিকিৎসা ব্যয় পাওয়া যাবে। আর বহির্বিভাগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বার্ষিক দশ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে বহির্বিভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় অর্ন্তভুক্ত থাকবে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ফি বাবদ প্রতি ব্যবস্থাপত্রে সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা পাওয়া যাবে।
এর আগে ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদের উদ্যোগে সর্বপ্রথম স্বাস্থ্য ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবীমা চালু করেন। এই বীমার সফলতা দেখে পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বিভাগে প্রচলন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে এই বীমার আওতাভুক্ত করা হয়।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটে চালু হয়েছিল স্বাস্থ্যবীমা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর ভর্তির সময় বীমা বাবদ একটা নির্দিষ্ট টাকা জমা দেয়। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানেই না এই বীমা আসলে কীভাবে কাজ করে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা শুধু টাকা দেন এবং জানেন এটা স্বাস্থ্যবীমা। এই বীমা থেকে কীভাবে টাকা তুলতে হয়, সে সম্পর্কে তাদের ধারনা নেই। কী কী সমস্যা হলে বীমার টাকা পাওয়া যাবে বা কোন কোন কারনে বীমা টাকা দেবে না; সে বিষয়ে তারা অজ্ঞাত। এজন্য তারা বীমার টাকা দাবিও করতে পারছে না।
আরও পড়ুন: টিএসসি-ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় এক কেজি মুরগি ৪৫ খণ্ডে বিক্রি
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছাব্বিরুল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা ভর্তির টাকার সাথেই কিছু পরিমাণ টাকা স্বাস্থ্য বীমা বাবদ কেটে নেওয়া হয়। আমি শুধু জানি, হাসপাতালে ভর্তি থাকলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা অসুস্থ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে। এর পুরো নিয়মাবলি সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানানো হয়নি। ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল শেখ জানান, আমর এই ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ কোনো ধারনা নেই। ভর্তির সময় টাকা দিতে হয় তাই দেই।
২০২১ সালের শেষের দিকে নিয়মিত সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য ও জীবনবিমা প্রকল্পের আওতায় আনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে সময় বলা হয়েছিল, “প্রতিবছর ভর্তির সময় এককালীন ২৭০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বিমাসুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা ২৮ বছর অতিক্রম করলে কিংবা ছাত্রত্ব শেষ হলে এ সুবিধা পাবেন না।”
আরেক শিক্ষার্থী রায়হান কবির বলেন, আমাদের বন্ধু-বান্ধব মাঝে মাঝেই অসুস্থ থাকে। আমি নিজেও অসুস্থ থাকি। কিন্তু এই ব্যাপারে আমি ভালোভাবে জানতামই না। বিভাগ থেকে বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেভাবে পরিষ্কারভাবে বীমার বিষয়টা জানানো হয়নি।
ভুক্তভোগী তৌহিদুর রহমান পালন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ফুটবল খেলতে গিয়ে আমার বাম পায়ের হাটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। অতঃপর সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে পায়ের সার্জারী করাই। গত জুন মাসে প্রথম সপ্তাহে আমি ইন্স্যুরেন্সের জন্য আবেদন করি এবং আমার ফাইল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কাছে জমা হয় ওই মাসের ২২ তারিখে। এরপর আমি অনেকবার (প্রায় ২০/২২ বার) রেজিস্ট্রার ভবনে যোগাযোগ করি। রেজিস্ট্রার ভবন থেকে আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হলেও তারা যথা সময়ে টাকাটা দিতে পারেনি। পরে অবশ্য রেজিস্ট্রার ভবনে স্বাস্থ্যবীমার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নিজেদের অপারগতা স্বীকার করেছেন। তৌহিদ জানান, ওই কর্মকর্তা তাকে বলেছেন, ‘‘তার কথা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি শোনে না। তাদের সাথে তার অনেকবার কথা হয়েছে টাকাটা নিয়ে; এমনকি আমাকে সামনে রেখেও ওই কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন দিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি।’’ কোম্পানি থেকে কোনো সময় ৭ দিন, কোনো সময় ৩ দিন সময় বাড়িয়ে নিয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমার টাকার কোনো খোঁজ আজও পাওয়া যায়নি।
কেন জানে না সাধারণ শিক্ষার্থী?
শিক্ষার্থীদের না জানার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রেজাউল আজিজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা প্রথম যখন ইনস্টিটিউটে স্বাস্থ্য বীমা চালু করি, তখন আমাদের এখানে পরামর্শ দেওয়ার জন্য একজন শিক্ষক এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম করার জন্য একজন অফিসার নিযুক্ত ছিল। আমাদের শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই বীমার টাকা তুলতে পারছিল। এটা ছিলো একটা ছোট্ট পরিধি, তাই হয়তো ব্যাপারটা খুব সহজে করা গেছে। কিন্তু পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বীমাটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক চালু করায় এর পরিধি বেড়েছে। এখানেই মূল সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে আমার মনে হয়।
আরও পড়ুন: নিম্ন মানের খাবারে আর ছারপোকার কামড়ে ঢাবি জীবন শুরু নবীন শিক্ষার্থীদের
তিনি আরও জানান, বীমার শর্তগুলো অনেক শিক্ষার্থী জানেই না। কিছু কিছু বিষয়ে স্বাস্থ্য বীমা কার্যকর নয়। সেক্ষেত্রে ওই বিষয়গুলোর জন্যও শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবীমার টাকা ক্লেইম করতে চাইলে তাদেরকে টাকা দেওয়া হয় না। তখন তারা ভাবে এই বীমা কার্যকর নয়। তাছাড়া আমরা যখন শুরু করেছিলাম তখন আমি নিজে এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত শিক্ষক হিসেবে ছিলাম এবং অফিস থেকে একজন প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া ছিল। যার ফলে শিক্ষার্থীরা আমাদের মাধ্যমে জানতে পারতো কীভাবে এবং কী কী কারণে এই টাকা ক্লেইম করা যাবে। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় সকল শিক্ষার্থীদের জন্য এটা বাধ্যতামূলক করলেও অন্যান্য বিভাগে কোনো শিক্ষক বা অফিস থেকে নিয়োজিত কোনো প্রতিনিধি নেই। যার ফলে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই অবগত নেই যে এই বীমা কীভাবে কাজ করে। আমার মনে হয়, প্রতিটি বিভাগে এই বীমা সম্পর্কে একজন শিক্ষক সংযুক্ত করা উচিত এবং একজন অফিস প্রতিনিধি নিয়োগ করা উচিত।
এদিকে কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগ যৌক্তিক কারণে হাসপাতালে ভর্তি থেকে বীমার জন্য আবেদন করেও পায়নি বীমার টাকা। প্রশাসনিক ভবনে ঘুরতে হয়েছে মাসের পর মাস।
যা বলছে কর্তৃপক্ষ
শিক্ষার্থীদের এই স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পেতে যমুনা লাইফ নামে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিডেটের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে দায়িত্বরত সহকারী হিসাব পরিচালক ছানোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যমুনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আগে ঠিকঠাকভাবেই টাকা দিত। কিন্তু বর্তমানে তারা একটু গড়িমাসি করছে। যত তাড়াতাড়ি ডেলিভারি দেওয়ার কথা তত তাড়াতাড়ি দিচ্ছে না। যেখানে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা সেটা যদি ২৫ কার্যদিবস হয়ে যায়; তাহলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তো করবেই। এ ব্যাপারে আমি ভিসি স্যারের সাথেও কথা বলেছি। স্যারও তাদের সাথে কথা বলেছে এবং অ্যাকশন নিতে চেয়েছে। এছড়া কোম্পানিকে আমি মৌখিক এবং লিখিতভাবে জানিয়েছি যে অক্টোবরের মধ্যে সকল চেকগুলো না দিলে মাঝপথে চুক্তি বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে চলছে অবাধে বহিরাগত যান, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
তিনি আরও জানান, টাকা না দেওয়ার পেছনে কোম্পানি যে কারণ বলেছে সেটা হলো তাদের যে চেকবই সেখানে পাতা ছিল না। তাদের যে ৩০০ পাতা বিশিষ্ট চেকবই সেখানে পাতা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকগুলো ক্লেইম জমে গিয়েছে। সঠিক সময়ে তারা দিতে পারেনি।
কবে নাগাদ টাকা দেবে এ বিষয়ে তিনি জানান, আগামী রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তারা সমস্ত চেকগুলো দিয়ে দেবে। তবে আমার মনে হয় না তারা এতো তাড়াতাড়ি দেবে। সেটাকে মাথায় রেখেই অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি সমস্ত চেক না পাই; তাহলে আমি সরাসরি সংবাদ সম্মেলন করব এবং চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হব।
যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড
আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত হিসাব পরিচালক সাইফুল ইসলাম তাঁর নিজ দপ্তরে এ প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। আমার সহকারীদের উচিৎ ছিলো সাংবাদিকদের জানানোর আগে আমাকে জানানো। তবে শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। কোনো ধরনের অস্বচ্ছতাকে আমরা গ্রাহ্য করবো না।
এসময় তিনি তাঁর সহকারীকে মুঠোফোন কল দিয়ে যমুনা ইন্স্যুরেন্সের সাথে মিটিং আয়োজন করতে বলেন এবং জানান আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সকল চেক পরিশোধ না করলে তাদেরকে প্রেশার দিতে বাধ্য হবেন।
তিনি আরও জানান, আমরা ইতোমধ্যেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে একাউন্ট খুলে দিয়েছি। আস্তে আস্তে সকল শিক্ষার্থীদের একাউন্ট হবে এবং এরপর থেকে আর কোনো চেক নয় সরাসরি শিক্ষার্থীদের একাউন্টে টাকা চলে যাবে।