ব্যাটল অব মাইন্ডস
বর্জ্য গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে ব্যবসার পথ দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন ঢাবির আইবিএ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৫:২২ PM , আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০৬:১৬ PM
পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ব্যবসায়িক নেতৃত্ব গড়ে তোলার স্বনামধন্য প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’র ২০তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)-এর দল ‘টিম খিচুড়ি’। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতায় এ বছরের সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন দল ‘সিনার্জি’ নামক উদ্ভাবনী এক প্রকল্পের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ের অন্য চার দলকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করে যাতে দেখানো হয় আবর্জনা থেকে পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস তৈরি করে কীভাবে সিলিন্ডারজাত করে স্বল্প খরচে সাধারণ জনগণের কাছে সরবরাহ করা যায়। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন আবির এরশাদ, মুহতাসিম বিন হাবিব ও মাশরিফ হাসান আদিব।
প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয় আর্মি ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’র শিক্ষার্থী হাসরাত হুমায়ুন ও আজমাঈন বিন রশিদ এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সালমান সাঈদের দল ‘আযর আহাই’ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের আলাভী রায়হান মাহিম, জুহায়ের আলী এবং যুনায়েদ মুবতাসিম ইসলামের দল ‘টুয়েন্টিজ টেনেন্টস’।
এ বছর দেশের ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮০০ জন প্রতিযোগী ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রতিযোগিতার ২০তম সংস্করণে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন দলটি বিশ্বের ৩৬টি দেশের বিজয়ী দলগুলোর সাথে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। বৈশ্বিকভাবে চ্যাম্পিয়ন দলটি তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করার জন্য প্রাথমিক তহবিল বা সিড ফান্ডিং হিসেবে ৫০ হাজার পাউন্ড লাভ করবে।
এবারের ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ ইএসজি (পরিবেশগত, সামাজিক ও সুশাসন) প্রতিপাদ্যের সাথে সম্পর্কিত জ্বালানি, প্রযুক্তি, কৃষি ও অন্তর্ভুক্তি এই চারটি চ্যালেঞ্জ ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়। দলগুলোকে একটি চ্যালেঞ্জ বেছে নিতে বলা হয় এবং বাস্তব সমস্যা মোকাবেলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে বলা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তাঁর বক্তব্যে তিনি দেশের তরুণদের ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন; পাশাপাশি, দেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখার লক্ষ্যে তরুণদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। তরুণদের বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রদানের মাধ্যমে নেতৃত্বের দক্ষতা বিকাশ ও সার্বিকভাবে মানবসম্পদ উন্নয়নে টেকসই ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম ও হেড অব ট্যালেন্ট, কালচার অ্যান্ড ইনক্লুশন সাদ জসিম সহ প্রতিষ্ঠানটির নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তারা।
‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’র ২০ বছরের যাত্রা দেশের ৩০ হাজারের অধিক তরুণদের দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রে এক অনন্য মাইলফলক। আগামী প্রজন্ম কীভাবে বিভিন্ন খাতে নতুন মাত্রা যুক্ত করছে এবং উদ্ভাবনী ধারণা, অগ্রণী প্রযুক্তি ও দূরদর্শী সমাধানের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে—তাই তুলে ধরে ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস।
প্রসঙ্গত, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’র ১৭০০’র বেশি অ্যালামনাই রয়েছেন, যারা দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন খাতে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।