জাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ‘রাবি’ শিক্ষার্থী!
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০৩:২১ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ০৬:০৬ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের ৪র্থ শিফটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
সোহেল রানা নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেছেন। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। সোহেলের পিতার নাম সোহাগ আলি ও মাতার নাম আমেনা বেগম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটে ৪র্থ শিফটে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ৪০১ নম্বর রুমে মো. নাজমুল হক নামের এক ভর্তিচ্ছুর হয়ে প্রক্সি দিতে আসেন সোহেল রানা। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সন্দেহ হলে তাকে যাচাই বাছাই করে ঐ ব্যাক্তিকে প্রক্টর অফিসে পাঠান।
ভর্তিচ্ছু নাজমুল হকের হয়ে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে 'বি' ইউনিট ও গতকালের 'সি' ইউনিটেও পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জানান আটকৃত ব্যক্তি।
সোহেল বলেন, আমি এর আগে কখনও কোথাও প্রক্সি দেইনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার এলাকার এক স্থানীয় বড় ভাই ইমরান ইমনের মাধ্যমে এখানে এসেছি। ইমরান ইমন নাজমুল হকের ফুফাতো ভাই।
এ বিষয়ে প্রক্টর অফিস থেকে প্রাপ্ত ইমরান ইমনের নাম্বারে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, 'বি’ ইউনিটের শিফটের পরীক্ষার সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তাকে এখন আমাদের জিম্মায় রাখা হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছি। বিকেল ৫টায় তাদের আসার কথা রয়েছে।তারা এসে অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিবেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত সোহেল রানা গতকাল 'সি' ইউনিটেও ওই একই পরীক্ষার্রীর জন্য প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আমরা ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল ভর্তি কমিটিকে জানিয়ে 'সি' ইউনিটের ওই উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে।