চবিতে ছাত্রলীগ নেতার হাতে নারী সাংবাদিক হেনস্তা
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৫ PM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৫ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এসময় শিক্ষার্থীদের ব্যানার ফেস্টুন কেড়ে নেন তারা। ঘটনাটির ফুটেজ সংগ্রহের সময় এক ‘নারী’ সাংবাদিককে হেনস্তা করেছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের অনুসারীরা ওই নারী সংবাদকর্মীকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী ওই সংবাদকর্মী মারজান আকতার দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
মারজান আকতার বলেন, ছাত্রলীগের অনুসারীরা যখন চারুকলার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার সময় আমি ফুটেজ নিচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের ভিএক্স গ্রুপের অনুসারীরা এসে আমাকে আটকায় এবং ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ সময় তারা বলছিলে ‘তোর নিরাপত্তা কে দেয় আমরা দেখবো’।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা
অভিযুক্তরা হলেন- ভিক্স গ্রুপের অনুসারী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক ফাহাদ, একই সেশনের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শহীদুর রহমান স্বপনসহ আরও ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, চারুকলার শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থানের বিষয়ে আগে জানায়নি। তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা না থাকায় এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়ে আমরা আগেও ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
অভিযুক্তদের একজন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা মারুফ আহমেদ বলেন, আমরা সাংবাদিককে প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থী মনে করে ভিডিও ডিলিট করতে বলেছিলাম। তবে তিনি যখন সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছেন তখন আমরা আর কিছু বলিনি।