বাঙালির মৌলিক বিশেষত্ব আছে: অধ্যাপক অমিত দে

সেমিনারে অতিথিবৃন্দ
সেমিনারে অতিথিবৃন্দ  © টিডিসি ফটো

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ চেয়ার অধ্যাপক ড. অমিত দে বলেছেন, বাঙালি মুসলমানদের একটি মৌলিক বিশেষত্ব আছে। যা অন্যান্য জাতির মধ্যে নেই। তারা একমাত্র যারা তাদের স্থানীয় ভাষা ও লিপিকে ভুলে যায়নি। ফার্সি বা উর্দুর মতো ভাষার প্রভাব থাকা সত্ত্বেও তারা বাংলা ভাষাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল। এটা আমাদের জন্য গর্বের। তবে এক্ষেত্রে সুফি ও মুসলমান শাসকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর ) সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এ.আর মল্লিক লেকচার কক্ষে ইতিহাস বিভাগের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ সেমিনারে এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, সুফি বিষয়ক গবেষণা শুরু হয় পাশ্চাত্যের ইতিহাসবিদদের হাত ধরে। পরবর্তীতে উপমহাদেশের ইতিহাসবিদদের হাত ধরে তা বিস্তৃত হয়। সুফিরা শুধু ইসলাম প্রচারই করেনি। তারা রাষ্ট্র গঠনে অসামান্য অবদান রেখেছে। তৎকালীন শ্রেণিবিভক্ত সমাজ বিনির্মাণে তারা কাজ করে গেছেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. একেএম শাহনাওয়াজ বলেন, সভ্য ও উচ্চশিক্ষিত বলে পরিচয় দেয়া ইউরোপীয়রা  একাদশ ও  দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলেছিল। কিন্তু এ অঞ্চলে অষ্টম শতক থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ছিল। সোমপুর বা নালন্দা এর অন্যতম বড় উদাহরণ। মধ্যযুগেও এর ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। পাঠশালা, টোল, মক্তব, মাদ্রাসায় শিক্ষা কার্যক্রম অবাধে বহমান ছিল।

অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান তার আলোচনায় বলেন, আমাদের প্রত্যেকের বাঙালি জাতির বিনির্মাণ সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। বিশেষত কিভাবে বাঙালি বা বাংলা বিশাল যাত্রা পথে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছেছে সেই ধারনা সবার রাখা জরুরি। আড়াই হাজার বছর আগের গ্রীক ঐতিহাসিকদের বিবরণীতে এ অঞ্চলে গঙ্গারিডই নামে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের কথা জানা যায়। তবে সে সময় বাঙালি বা বাঙলা নামের অস্তিত্ব ছিল না। পরবর্তীতে শশাঙ্কের হাত ধরে গৌড় বা পাল ও সেন আমলেও বাঙলা নামের বিকাশ ঘটেনি। ১৩৩৮ সালে ইলিয়াস শাহের মাধ্যমে 'শাহ ই বাঙ্গালাহ' বা 'বাঙালি' জাতি রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটেছিল।

সেমিনারে আলোচনা সভা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব নামে একটি সেগমেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল।যেখানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আলোচকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড.সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বেবি সহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও বিভিন্ন বর্ষের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence