নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন

শর্ত শিথিল করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

নীতিমালার শর্ত শিথিল করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছে দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন’।

সোমবার বিকেলে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোকারম হোসেন স্বাক্ষরিত এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রিপোটার্স ইউনিটিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের দিনব্যাপী এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ৫০টি জেলার শতাধিক শিক্ষক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।  এতে এমপিওভুক্তির সর্বশেষ অগ্রগতির অবস্থা এবং সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

রবিবার শিক্ষকদের এক প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করেন।  মন্ত্রী দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ এগোচ্ছে বলে শিক্ষকদের জানান।  এরপর বিকালে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।  এসময় তিনি এমপিওভুক্তির বিষয়ে সরকারের শীর্ষ মহলে কথা বলবেন বলে শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন।

সোমবারের সভায় নেতৃবৃন্দ এমপিওভুক্তির নীতিমালার শর্ত শিথিল করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানান।  যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক স্তর স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ঐ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির মতো সকল স্তর একত্রে এমপিওভুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

সভায় নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রধান অংশীজন হওয়ায় এমপিওভুক্তির কমিটিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিনিধি রাখার দাবি জানানো হয়।  সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবীর সভাপতিত্বে এ সভা সঞ্চালনা করেন অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়।

এদিকে, রোববার বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি পৃথক জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা জারি করেছে সরকার। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির বিধান রাখার পাশাপাশি শিক্ষক যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০১৮’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০১৮’ শীর্ষক দুটি নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের স্বাক্ষরিত দুটি নীতিমালায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে নতুন করে বদলি নীতিমালা করে শিক্ষক-কর্মচারী বদলি করবে সরকার।

কারিগরি ও মাদরাসা নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই দুই স্তরের শিক্ষক নিয়োগে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইনডেক্সধারীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। সরকারি চাকরি বিধি মোতাবেক ৬০ বছর পর্যন্ত তারা শূন্য আসনে যোগদান করতে পারবেন। এই নীতিমালার আদলেই কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক নিয়োগের বিধান রেখেই জন্য আলাদা দু’টি নীতিমালা জারি করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে নীতিমালায়। দুটি নীতিমালাতেই বলা হয়েছে, সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনবোধে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে বদলি করতে পারবে।

আরও বলা হয়েছে, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা, সমগ্র শিক্ষা জীবনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে একটি তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি বা সমমান গ্রহণযোগ্য হবে। নারী কোটা মানার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে দু’টি নীতিমালাতেই।


সর্বশেষ সংবাদ