পর্যটকদের বান্দরবানের রুমা ভ্রমণে প্রশাসনের ‘না’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ PM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০০ PM
বান্দরবানের রুমায় যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে রুমা উপজেলার পর্যটন এলাকাগুলোয় যেকোনও ধরনের পর্যটক ভ্রমণ নিরুৎসাহিৎ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের চারটি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. দিদারুল আলমের (রুটিন দায়িত্বে) স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছিল।
নির্দেশনায় বলা হয়, যৌথ বাহিনী অভিযান চালানোর সময় কোনও হোটেলে রুম ভাড়া দেওয়া যাবে না। কোনও পর্যটক পথপ্রদর্শক ও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনও পর্যটনকেন্দ্রে জিপ গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে না এবং নৌপথেও পর্যটককে পর্যটনকেন্দ্রে না যেতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রুমা ইউএনও মো. দিদারুল আলম বলেন, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারেকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ব্যাংক সংলগ্নে অবস্থিত মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।
পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়-সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা।
এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা করা হয়। পরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীসহ ৫৮ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।