পায়ে হেঁটেই বিশ্ব ভ্রমণে শান্ত, লাগবে ১২ বছর

সাইফুল ইসলাম শান্ত
সাইফুল ইসলাম শান্ত  © সংগৃহীত

হেঁটে বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বাংলাদেশি হাইকার সাইফুল ইসলাম শান্ত। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বের হন তিনি। এর আগে ২০২২ সালে ৭৫ দিনে হেঁটে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা (৩ হাজার কিলোমিটার) ভ্রমণ করেন। একই বছরে তিনি ৬৪ দিনে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার হেঁটে বাংলাদেশ থেকে ভারত (ঢাকা, সান্দাকফু, দার্জিলিং) ভ্রমণ করেন।

গত বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিশ্বভ্রমণের তথ্য জানান শান্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বলসহ অন্যরা। 

সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৩টি দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা আছে আমার। ঢাকা থেকে হাঁটা শুরু করে যশোর-বেনাপোল সীমান্ত পার হয়ে কলকাতায় পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছি। এরপর ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ হয়ে দিল্লিতে পৌঁছাব। পরিকল্পনা অনুযায়ী উজবেকিস্তান যাওয়ার কথা রয়েছে। তারপর পর্যায়ক্রমে মধ্য এশিয়ার তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ ক্রমান্বয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করব আশা করি। এশিয়া মহাদেশ ভ্রমণের পর আমার আফ্রিকা এবং ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ ভ্রমণের পর অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ গিয়ে বিশ্বভ্রমণের পরিসমাপ্তি ঘটবে। আপাতত এটাই পরিকল্পনা।’

শান্তর এই বিশ্বভ্রমণে লজেস্টিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘ভ্রমণের সময় যখন নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তখন অনেক বেশি উপভোগ করা যায় সবকিছু। শেখা ও জানা যায় অনেক। হেঁটে ভ্রমণ তাই সব সময়ই আনন্দের। আমাদের দেশে অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেল তুলনামূলক কম হয়। তাই বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন দেশের যে কোনো অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেলের পাশে থেকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগাতে চায়। আমরা এটাও চাই, কেউ অ্যাডভেঞ্চার ট্রাভেলে আরও আগ্রহী হোক এবং তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখুক। এতে সবাই জানতে পারবে এবং ভ্রমণে অনুপ্রাণিত হবে।’ 

শান্ত বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর সময় লাগবে এ ভ্রমণ শেষ করতে। খুব জরুরি কোনো প্রয়োজন না হলে দেশে ফিরব না এ সময়ের মধ্যে।’ হেঁটে ভ্রমণ হলেও, থাকা-খাওয়া বাবদ এ ভ্রমণে বিশাল অর্থের প্রয়োজন। কীভাবে আসবে সেই অর্থ– এমন প্রশ্নের উত্তরে সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘মাইলেজ অনুসারে স্পন্সর নিচ্ছি আমি। প্রাথমিকভাবে এক হাজার ডলার স্পন্সর পেয়েছি।’


সর্বশেষ সংবাদ