কিছু মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়, কিন্তু কেন?

  © সংগৃহীত

বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না এডিশ মশাবহিত রোগ ডেঙ্গু থেকে। মশার ভয়াবহতায় সকলেই সাবধানতা অবলম্বন করছেন। সতর্ক থাকছেন যাতে মশা না কমড়ায়। তবুও কিছু মানুষ আছেন যাদেরকে খুঁজে নিয়ে কামড়ায় মশা। এমনি এক গবেষণায় তুলে ধারা হয়েছে, কাদের বেশি মশা কামড়ায়।

সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কিছু কিছু মানুষের চামড়ায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা মশাকে আকৃষ্ট করে। সারা জীবনই সেই উপাদানগুলো ত্বকে পাওয়া যায়। তাই আজীবন তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। তাঁদের সারা জীবনই মশার কামড় খেয়ে যেতে হবে। নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুজীববিদ্যার গবেষক লেসলি ভসহলের নেতৃত্বে হওয়া গবেষণাটি বলছে, কিছু কিছু মানুষের চামড়ায় এমন কিছু উপাদান থাকে যা মশাকে আকৃষ্ট করে। সারা জীবনই সেই উপাদানগুলি ত্বকে পাওয়া যায়। তাই চির কালই তাঁদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সেল’-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটি। ৬৪ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর করা হয়েছে গবেষণাটি। গবেষকরা বলছেন, বিভিন্ন রকম ভাবে স্বেচ্ছাসেবকদের সাজিয়ে এডিস ইজিপ্টাই মশার সামনে নিয়ে গেছেন তাঁরা। দেখা যায়, বিশেষ কয়েক জন ব্যক্তির দিকে প্রায় একশো গুণ বেশি আকৃষ্ট হয় মশা। বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা করার পরেও একই রয়ে গেছে ফলাফল। এই ব্যক্তিদের গবেষকেরা নাম দিয়েছেন ‘মশক চুম্বক’ বলে।

কিন্তু এমন কেন ঘটে? গবেষকরা বলেছেন, যাদের মশা বেশি কামড়াচ্ছে তাঁদের ত্বকে কিছু বিশেষ ধরনের অ্যাসিড ক্ষরিত হয়। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই অ্যাসিডগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক ভেদে বিভিন্ন মানুষের দেহে বিভিন্ন হারে এই উপাদানগুলি ক্ষরিত হয়। ত্বকে বসবাসকারী কিছু ব্যাক্টেরিয়া এই অ্যাসিড থেকে উৎপাদিত ‘পিচ্ছিল’ কণাগুলির উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে। এই উপাদানের প্রতিই আকৃষ্ট হয় মশা। যেহেতু এই অ্যাসিডগুলো ত্বকের স্বাভাবিক উপাদান, তাই জোর করে এই উপাদানগুলো দেহ থেকে দূর করতে গেলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ফলে মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় নেই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence