চলমান দুর্নীতি টিপ অব দ্য আইচ: চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
- চবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৩ AM , আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৪২ AM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান দুর্নীতিকে টিপ অব দ্য আইচ বার্গ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের সামনে উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলমান আন্দোলনের চতুর্থ দিনের কর্মসূচি হিসেবে বেলা ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তিন ঘন্টা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি।
অনশন চলাকালীন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, আমরা আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগ বন্ধ করার কথা বলেছিলাম। এটা শুধু একটা বিষয় নয়। টিপ অব দ্য আইচ বার্গ। এই যে বিশাল দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করার যে ফিরিস্তি তার সামান্যতম হচ্ছে আইন বিভাগের নিয়োগ। রাতের আঁধারে নিশাচর প্রাণীর মতো পালিয়ে গিয়ে আপনি আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড করেছেন। এটা লজ্জাজনক, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা। আপনার নৈতিক সাহস নেই। আপনি নৈতিকতা হারিয়েছেন। উপ-উপাচার্যও একই রকম প্রক্রিয়ার অংশ। যতক্ষণ উপাচার্য ও উপ উপাচার্য বিদায় না হচ্ছেন, আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
চবির ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুবায়েত হাসান ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে বলেন, আমরা দেখেছি বর্তমান উপাচার্যের সময়ে যখন প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করল, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিভিন্ন গবেষণা কর্মের উদ্দেশ্য দেখালেন তখন উপাচার্য বললেন তারা প্রশানের মধু খেয়েছেন। এই মধু খাওয়া নিয়ে আমি যখন পোস্ট দিলাম মেইল করলাম যদি প্রশাসনের মধু পাওয়া যায় তাহলে সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে দেওয়া হয় না কেন?
তিনি আরও আরো বলেন, মেইল পাঠানোর পরে ৩০ মিনিটের মধ্যে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইল আইডি ব্লক করা হয়। পরে আইসিটি সেলে যোগাযোগ করে সেই আইডিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এরপর থেকে মনের দুঃখে মেইল লেখা বন্ধ করে দিয়েছি।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর আইন বিভাগের নির্বাচনী বোর্ড নিয়ে বলেন, প্রফেসর আব্দুল্লাহ ফারুক, উনি আইনের কথা কলে নীতির কথা বলে কি সাইন করলেন। আপনি কত অনিয়ম, কত দুর্নীতি করেছেন। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করি, এখানে কোনো অনিয়ম, কোনো দুর্নীতি হলে আমার লজ্জা লাগে।