এমপি শেখ সেলিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি

  © টিডিসি ফটো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অভ্যন্তরে প্রস্তাবিত আইসিটি পার্ক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে নতুন জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গোপালগঞ্জ-০২ আসনের এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির সকল সদস্যসহ ২৫ জন শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল এই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের  সার্বিক উন্নয়নে তারা শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সমর্থন প্রত্যাশা করেন। একই সাথে আইসিটি পার্ক স্থাপনের কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আরও ২০-৫০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য তাঁর আন্তরিক সহায়তা বশেমুরবিপ্রবি'র শিক্ষক প্রতিনিধিগণ চেয়েছেন। 

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা অধিগ্রহণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। 

তিনি শিক্ষক সমিতিকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রথম থেকেই অনেক কষ্ট করেছেন। স্থানীয় জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজসহ অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। গোপালগঞ্জের রাস্তা-ঘাট ও আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে চেষ্টা করেছেন। এসবই করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতাকে আদর্শ মেনে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণকে সময়ের অন্যতম দাবি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বরাবরই অনুভব করেছি। এখনও করি। এটি নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন করা হবে বলে উপস্থিত শিক্ষকগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অংশীজনের মধ্যকার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসন ব্যবস্থাসহ আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারেও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন।

এর পূর্বে, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি আইসিটি পার্ক স্থাপন প্রসঙ্গে উপাচার্য বরাবর কয়েকটি দাবি উত্থাপন করে বিবৃতি প্রকাশ করে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আইসিটি পার্কের অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত অডিটোরিয়াম ও অন্যান্য স্থাপনাসমূহ কোথায়, কিভাবে এবং কতদিনের মধ্যে স্থানান্তরিত করে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে তা নিশ্চিত করা, এই আইসিটি পার্কের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের সাথে সুসমন্বয় করে পরিচালিত হওয়া এবং এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়া, এই স্থাপনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন কোনো অবকাঠামো হিসেবে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক সুনিয়ন্ত্রিত ও এর স্বার্থের সাথে সংগতি রেখে পরিচালিত হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইসিটি পার্ক স্থাপনের বিনিময়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে বশেমুরবিপ্রবি ন্যূনতম ২০ একর জমি অধিগ্রহণ করা এবং বঙ্গবন্ধু'র ম্যু'রালের পাশে উক্ত আইসিটি পার্ক স্থাপন যাতে ম্যু'রালটির সৌন্দর্য কোনোভাবেই বিনষ্ট না করে তা নিশ্চিত করা।

এছাড়া, একই বিষয়ে উপাচার্য বরাবর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেছেন এবং কর্মকর্তা সমিতি বিবৃতির মাধ্যমে তাদের দাবিসমূহও জানিয়েছেন। শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের দাবি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইসিটি পার্ক নির্মিত হলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে এই পার্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিশ্ববিদ্যালয়ের থাকতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে দ্রততম সময়ে ২০-৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নলেজ পার্ক গোপালগঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। উক্ত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও স্থানীয় রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ-সম্পাদকসহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ