ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল
সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী শাহ্ নাওয়াজ
- শিউলি রহমান
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:৪৬ PM , আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৬:৪০ PM
আসন্ন ৬ষ্ঠ কাউন্সিল ঘিরে চাঙ্গাভাব ছাত্রদলে। উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত। সারাদেশের কাউন্সিলরদের কাছে গিয়ে ভোট যাচ্ছেন তারা। তুলে ধরছেন নিজের ত্যাগ ও পরিশ্রমের কথা। জানাচ্ছেন ভবিষ্যত পরিকল্পনাও।
প্রায় ২৭ বছর পর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল। সেখানে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৯ জন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন ১৯ জন।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ছাত্রদলের প্রতিটি শাখার শীর্ষ পাঁচজন নেতা ভোট দিতে পারবেন। সংগঠনটির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের ১১৬ শাখায় মোট ৫৬৬ জন ভোটার রয়েছেন। এই ভোটাররাই নির্বাচিত করবেন ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা।
সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে আছেন নোয়াখালী অঞ্চলের শাহ্ নাওয়াজ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। পারিবারিকভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া শাহ নাওয়াজ পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্তৃক বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার নামে ঢাকার রমনা, শাহবাগ ও হাতিয়া থানায় তিনটি রাজনৈতিক মামলা রয়েছে।
শাহ নাওয়াজের বাবা মৃত মো. আব্দুল হাই চেয়ারম্যান সোনাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে হাতিয়া থানা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বপালন করেন। স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া শাহ নাওয়াজ ২০০২ সালে হাতিয়া থানা ছাত্রদলের সদস্য মনোনীত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ২০০৬ সালে মাস্টারদা’ সূর্যসেন হল শাখা সদস্য এবং সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পান। শাহ্ নাওয়াজ বাকি পাঁচ ভাইও জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন।
২০০১ সালে তিনি এসএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০০৪-২০০৫ সেশনে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি মাস্টার ইন গভার্নেন্স স্টাডিজে অধ্যয়ন করছেন।
২০১০ সালে মধুর ক্যান্টিনে প্রথম ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন এই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। ২০১৫, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ এপ্রিল দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সময়ে পুলিশের হামলার শিকার হন। একই বছর ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের সময় হাতিয়াতে প্রচারণা চালানোর সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় আহত হন শাহ্ নাওয়াজ। এছাড়া ১/১১ এর আন্দোলনসহ দলীয় কর্মসূচিগুলোতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
এদিকে, সারাদেশের প্রচারণা প্রায় শেষ পর্যায় বলে জানান শাহ্ নাওয়াজ। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রচারণা শেষ করে এনেছি। আর কয়েকটা জেলা বাকি আছে। আজ এবং কালের মধ্যেও সেগুলোও শেষ করবো।
শাহ্ নাওয়াজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। একাধিকবার কারাবরণ করেছি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময়ও হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। চূড়ান্ত বিচারের ভার আমি কাউন্সিলরদের ওপর ছেড়ে দিলাম।
তিনি আরো বলেন, প্রচারণার সময় কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি আমার লক্ষ্যের কথা বলেছি। ১৯ দফা প্রতিশ্রুতির কথা বলেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গৌরবের সাথে দেশে ফিরিয়ে আনা সর্বোপরি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি ছাত্রসংগঠন যে ধরনের ভূমিকা পালন করে সেভাবেই সবাইকে নিয়ে ছাত্রদলকে পরিচালনা করবেন বলে জানান এই প্রার্থী।