ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ভিসির পদত্যাগ দাবি 

লংমার্চ কর্মসূচি
লংমার্চ কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহীর কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জিরোপয়েন্ট থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন।
 
এসময় তারা ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশ‘, ‘ভিসির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, 'জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে', ‘লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীর ৭০ শতাংশই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। অথচ মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ৭৯৫ টাকা। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সরকারকে ভ্যাট হিসেবে দিচ্ছে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা। এত অল্প বরাদ্দে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা সম্ভব নয়। অথচ সংস্কারের নামে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ফি। রেলে, বাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও দারোয়ানদের দিয়ে ফাইল টানাটানি করে খাতা দেখানো হচ্ছে। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধেই আমরা আন্দোলন করছি। 

এর আগে, শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পরীক্ষার ফি কমানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক বার্তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের চিন্তা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পরীক্ষার ফি কমানোর জন্যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকদের নিয়ে একটি মিটিং করে নভেম্বর ১৫ তারিখের মধ্যে এই বিষয়ে ঘোষণা আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমার এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, এবং অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানদের সাথে এক জরুরি মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেহেতু অনেকেই বর্তমান পরীক্ষার জন্যে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছে, সেহেতু অনার্স পার্ট-৪ এবং পাস কোর্স পার্ট-২ এবং আগামী অন্যান্য পরীক্ষা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ