ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাদের মানববন্ধন

মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা যোবায়ের, দ্বীন আমিন ও সিয়াম (বাম থেকে)
মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতা যোবায়ের, দ্বীন আমিন ও সিয়াম (বাম থেকে)  © টিডিসি সম্পাদিত

গাজীপুরের টঙ্গীতে মিরাজুল ইসলাম খান মিরাজ নামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে মানববন্ধনের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

ছাত্রদলের একাধিক নেতার অভিযোগ, স্থানীয় তেল ব্যবসায়ী বজলুর রহমান  নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত বিএনপি নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। এতে অংশ নেন ছাত্রলীগের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক যোবায়ের, গণনা ও প্রকাশনা সম্পাদক সিয়াম, এবং নেতাকর্মী দ্বীন আমিন ও রিয়াদসহ অনেকে।

জানা গেছে, গত ৩০ জন বজলুর রহমানের বাসার নির্মাণকাজ সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। মিরাজের দাবি, তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ডেকে এনে ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে অপমান ও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। পরে একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে বজলুর রহমান টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ মিরাজের পিতাকে গ্রেফতার করে। 

এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিরন বলেন, মিরাজ ছাত্রদলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী। রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের ও মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বজলুর রহমানের সঙ্গে মিরাজের পূর্বে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের দ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে একজন রাজপথের কর্মীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। অথচ এই মিরাজ ডামি নির্বাচনের সময় ৬৪ দিন জেল খেটেছেন, পরিবারও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজ কিছু দুষ্কৃতকারী ও নিষ্ক্রিয় বিএনপি নেতাদের ষড়যন্ত্রে মিরাজ টার্গেট হয়েছেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

ঘটনার বিষয়ে মানববন্ধনের আয়োজক বজলুর রহমানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, বজলুর রহমানের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মানববন্ধন কেন এবং কারা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কেউ অংশ নিয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।   


সর্বশেষ সংবাদ