জবিতে অনশনের ঘটনাটি সাজানো, দাবি ছাত্রদল নেতার

ফেসবুক পোস্ট ও জবি ছাত্রদল নেতা
ফেসবুক পোস্ট ও জবি ছাত্রদল নেতা  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ ৩ দফা দাবিতে গণঅনশন করা শিক্ষার্থীদের সাজানো ছিল বলে আখ্যায়িত করেছেন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মো. রিয়াসাল রাকিব।

আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেরিভায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানান তিনি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে সাজানো নাটক ও জকসু ইলেকশনের জন্য ফোকাস করা বলেও দাবি করেন তিনি। 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, সাংঘাতিক, তথাকথিত বৈষম্য বিরোধী, চোর, বাটপার, দালালদেরকে সাথে নিয়ে নাটক সাজাইয়া স্টুডেন্টদের মাঠে নামাইয়া আন্দোলন ভালোই হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল জকসু ইলেকশনের জন্য নিজেদের ফেইস ফোকাস করা। আমরা ধৈর্য সহকারে সব কিছু অবজার্ভ করেছি। আমরা কোনো ক্রেডিট নেয়ার জন্য আন্দোলনে আসিনি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়া সত্যেও আমাদেরকে মাইনাস করেই সবকিছু করা হয়েছে। তবুও আমরা পাশে ছিলাম।’

তিনি আরও লেখেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে ধোঁয়া দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে আগামীতে এই ধরনের মুনাফিকমার্কা আন্দোলনের স্বপ্ন দেইখেন না। আর ভুলেও নেতৃত্ব দেয়ার চিন্তা কইরেন না। মুনাফিকদের সহযোগিতা করা, পা চাটা গুটি কয়েক মুনাফিক শিক্ষকদের জন্যও একই বার্তা।’

এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মো. রিয়াসাল রাকিব বলেন, ‘এই আন্দোলনে শুরু থেকে ছাত্রদল পাশে ছিল। কিন্তু শেষে যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারাও একটি ছাত্র সংগঠনের। তারা কোন সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। রাকিবকে আমি চিনি, সে একটা সংগঠনের সভাপতি। আর শিবিরের ছিল দুইজন প্রতিনিধি। কিন্তু একটা আন্দোলনে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ছাত্রদলের কাউকে ডাকা হয়নি। এরা দুইজন সিন্ডিকেট করে বলে দিলো, দুইদিন ক্লাস পরীক্ষা নাই, তাহলে হয়ে গেল? পেছন থেকে কারা এসব কলকাঠি নাড়ছেন, এসব আমরা তো বুঝি। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করতেছে?’

প্রসঙ্গ, এর আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে পরদিনই কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে নিজ জিম্মায় জামিনে মুক্ত করেন এই নেতা।

আর রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৬ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেনি শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা সচিবালয়ের অবস্থান নেন অনশনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় দাবি মেনে নেয়ার মন্ত্রণালয়ের লিখিত আশ্বাসে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence