কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১৩ শিক্ষার্থী

সংঘর্ষ
সংঘর্ষ  © সংগৃহীত

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের চলা আন্দোলনে ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ প্রথম দিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ি বিশ্বরোডে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ঘণ্টাব্যাপী পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১টা থেকে এই সংঘর্ষ শুরু হয় (এখন পর্যন্ত চলমান)। আন্দোলনে পুলিশ অন্তত ৫০০টি গুলি ছোড়ে। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত শিক্ষার্থীদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটবাড়ি বিশ্বরোডে জড়ো হন। তাঁরা বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেন, তাঁদের কর্মসূচিতে যেন ছাত্রলীগ বাধা না দেয়।

বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শত শত শিক্ষার্থীর কোটবাড়ি মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলেও তারা সড়ক থেকে না সরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত  উঠেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি এলাকা। 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে আহত হয় ১৩ জন শিক্ষার্থী। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল জানান, সংখ্যায় কতজন আহত হয়েছে তাদের নাম বলতে পারছি না। তবে আমাদের ধারণা ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

এদিকে, আজ সকাল থেকে মহাসড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পুলিশকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে দুয়োধ্বনি দিচ্ছিল। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব শিক্ষার্থীদের সরাতে টিয়ারশেল ও কয়েকশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এতেও পিছু হটেনি আন্দোলনকারীরা। এখনও থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

নাঈমা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সহপাঠী সনিয়ার পায়ে গুলি পড়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রিকশা করে কোনোরকম মেডিকেলে নিয়ে গেছে। এখন সে কেমন আছে জানা নেই। তবে আমরা আমাদের দাবি না আদায় পর্যন্ত রাস্তা ছাড়ব না।

 

সর্বশেষ সংবাদ