১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগে: সাদ্দাম

  © টিডিসি ফটো

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করতে চাই। সোমবার (১ ১মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল মাঠে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভায় সভাপতি এবং উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এসময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। হাবিপ্রবিকে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরাই হবে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের প্রধানতম কাজ। আমাদের মতের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা একটি পরিবার। একজন ছাত্রলীগ কর্মীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত কাছের মানুষ হচ্ছে আরেকজন ছাত্রলীগ কর্মী।

তিনি বলেন, ক্ষমতা দেখানো রাজনীতিকে ক্যাম্পাস থেকে লাল কার্ড দেখাতে হবে। ছাত্র রাজনীতি হবে শিক্ষার্থী বান্ধব। ছাত্র রাজনীতি হবে বিনয় এবং মেধার উপর নির্ভরশীল। 

কর্মীসভা উপলক্ষ্যে তিনি  বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছরে অনেক দক্ষ, মেধাবী, পরিশ্রমী নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে এখানে। তবে এখন আগে এই জট নিরসন করতে হবে। সেজন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিটি গঠন করা। তাই আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে কমিটি গঠন করতে চাই।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক সামসুল আরেফিন সেজান এবং উপ কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৯ মার্চ) থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মঞ্চসজ্জা, সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে তারা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে ছাত্রলীগের পতাকা ও জাতীয় পতাকা। সম্মেলন পেয়ে খুশি তারা। স্বপ্ন দেখছেন নতুন কিছুর। প্রত্যাশা, আরও গতিশীল ছাত্র নেতৃত্ব।বিভিন্ন পদ প্রত্যাশী প্রায় ১৪০ জন আজকের কর্মীসভায় জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।

সম্মেলনে আসা ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য ঈদের আনন্দের মতো। আমরা আশা করছি এবার আরও মেধাবী ও গতিশীল নেতৃত্ব আসবে এবং আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।

জানা যায়, এদিকে প্রায় একযুগ পার হলেও নতুন কমিটি পায়নি হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ। সর্বশেষ ২০১০ সালে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েলকে সভাপতি ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী অরুণ কান্তি রায় সিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিলো। এরপর ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বর হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। 

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়। জীবনবৃত্তান্ত জমা নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী ও উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান। সেসময় ১০ জন ছাত্রীসহ মোট ২৮৯ জন পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। এর আগে ২০১৬ সালেও একবার জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময় কমিটি দেয়া হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ