‘ট্রান্সজেন্ডার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না’

ঢাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন
ঢাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ট্রান্সজেন্ডার এজেন্ডা কোনোভাবেই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ‘ট্রান্সজেন্ডার এজেন্ডা প্রসারের অপচেষ্টা বন্ধ ও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বাতিল’ দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। টিএসসি চত্বরে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শরিফুল ইসলাম বলেন, ট্রান্সজেন্ডারকারীদের হিজড়া সম্প্রদায় অবহিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জ্ঞানগত আগ্রাসনের আশ্রয় নিয়েছেন। যা হিজড়া সম্প্রদায়ের পরিচয় ও অধিকারের প্রশ্নে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করবে, বিশেষত নারী শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিব্রতকর পরিস্থিতি ও সামাজিক অনিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, পশ্চিমা কালচারকে এদেশে বাজারজাত করতেই এমন বিকৃত মানসিকতাকে বাংলাদেশে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। শুধুমাত্র একজন নারী নিজেকে পুরুষ দাবি করলে সে পুরুষ এবং একজন পুরুষ নিজেকে নারী দাবি করলে সে নারী; এক্ষেত্রে জৈবিক ও দৈহিক গঠন কোন বিষয় না–এমন চিন্তা ও মানসিকতা অসুস্থ চিন্তা ব্যতীত অন্য কিছুই নয়।

‘‘এই ধরনের প্রকৃতিবিরোধী ও সমাজ বিধ্বংসী চিন্তা এদেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না। বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ সরকার ট্রান্সজেন্ডারকে বাস্তবায়নের জন্য যে খসড়া আইন করেছে—তা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে। একইসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এই শব্দ তুলে দিয়ে প্রকৃত হিজড়াদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত ক্ষোভ বলেন, এই অসামাজিক প্রবণতাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রমোট করা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এই অবৈজ্ঞানিক ট্রান্সজেন্ডার কোটা চালুকরণ ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। আমরা ঢাবি প্রসাশনকে ট্রান্সজেন্ডারকে প্রমোট করা বন্ধ ও ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বাতিল করার আহবান জানাই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাউফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদের নেতৃবৃন্দ। 

তবে এ দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ব্যক্তি পছন্দ ও স্বাধীনতার এ দাবি শ্রদ্ধাশীল নয় বলে মনে করেন প্রগতিশীল সমাজ।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!