রশিদ-নবীদের বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আফগানি

বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আফগানি
বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আফগানি  © সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিশ্বকাপে সুপার এইটে লাল-সবুজের দলকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ রানে জিতে ইতিহাস রচনা করল আফগানিস্তান। প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চের শেষ চারে উঠে গেল আফগানরা। ম্যাচ জয়ে যে প্রকৃত উচ্ছ্বাস, তা অনেক দিন পর হয়তো আফগানদের মাধ্যমে দেখলে ক্রিকেট বিশ্ব। খুশিতে অঝোরে কেঁদেছেন অনেক আফগান। রশিদ-নবীদের বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আফগানি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের দেয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। ম্যাচ জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিজয় উদযাপনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার আফগানির ছবি পোস্ট দিয়েছে তারা।

সেখানে তারা লিখেছে, আফগান বীরদের ঐতিহাসিক বিজয় উদযাপনে আবারো রাজপথে নামলেন খোস্তওয়াল। আফগান বীর, আফগানিস্তানের গর্ব। গর্বিত জাতি, সফল দল।

আবারও আফগান চ্যাম্পিয়নদের জয় ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সেমিফাইনালে উত্তরণের আনন্দ উদযাপন করলেন খোস্ত প্রদেশের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ! আফগান বীর, আফগানিস্তানের গর্বিত জনগণ! গৌরবান্বিত জাতি, বিজয়ী দল!

এদিকে ম্যাচ সেরা হয়ে নাভিন বলেন, আমরা গত কয়েক বছর ধরে এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা এই দিনটির জন্য স্বপ্ন দেখছিলাম এবং কাজ করছি। আজ বাস্তব অনুভূতি হচ্ছে। আমরা জানতাম, ১২ দশমিক এক ওভারে বাংলাদেশের টোটাল তাড়া করা কঠিন হবে। তাই আমরা জানতাম যে, আমরা খেলায় আছি। 

তিনি বলেন, এটা এমন খেলা যেখানে আপনি কখনই জানেন না কী ঘটতে পারে। একটি বাউন্ডারির ​​পরে আপনি অনুভব করেন যে খেলাটি হাতছাড়া হয়ে গেছে। কিন্তু একটি উইকেট আপনাকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। তাই ত্রুটির জন্য মার্জিন খুব কম। এই ধরনের উইকেট বেশি স্কোরিং নয়, তাই আমরা সবসময় খেলায় ছিলাশ। আমরা এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমরা সেমিফাইনালে আছি, আমরা খুব খুশি।

বিজয়ী অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছি, দল হিসেবে সেমিফাইনালে থাকাটা আমাদের জন্য স্বপ্নের মতো। নিউজিল্যান্ডকে হারানোর সময় আমাদের এই বিশ্বাস এসেছিল। জয়ে অনুভূতি বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দ আমার কাছে নেই। একমাত্র ব্রায়ান লারা আমাদের সেমিতে যাওয়ার মন্তব্য করেছিলেন। আমরা এটি সঠিক প্রমাণ করেছি। আমি তাকে বলেছিলাম, আমরা তোমাকে হতাশ করবে না। 

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম এই উইকেটে ১৩০-১৩৫ ভালো টোটাল। আমরা ১৫-২০ রান কম ছিলাম। তিনিও বলেন, ১২ ওভারে বাংলাদেশের রান তাড়া কঠিন হবে এটা আমরা জানতাম। সেখানেই আমরা সুবিধা নিয়েছি। সবাই চমৎকার কাজ করেছে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের শক্তিশালী ভিত্তি আছে, বিশেষ করে বোলিংয়ে। 

রশিদ বলেন, বৃষ্টি কখন খেলা চলছিলো, আবার কখনও বন্ধ ছিল। কিন্তু আমরা মানসিকভাবে শক্ত ছিলাম। আমরা জানতাম, সেমিতে যেতে একটিই পথ, সেটি হলো ১০ উইকেট নেওয়া। বাড়িতে ফিরে এটি একটি বিশাল উদযাপন হবে, আমরা এর জন্য গর্বিত। সেমিফাইনালে থাকাটা এখন বড়। আমাদের জিনিসগুলো সহজ রাখতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা বড় উপলক্ষ উপভোগ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ