দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১১:০৪ PM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ১১:২০ PM
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়ছে বাংলাদেশ দল। বল হাতে দায়িত্ব সেরেছেন বোলাররা। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে টাইগারদের ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়েছে প্রোটিয়ারা। এখন দায়িত্ব ব্যাটারদের। তবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও ফিরলেন ভক্তদের নিরাস করে। দলীয় ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে বাংলাদেশ।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে প্রোটিয়ারা। দলীয় ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের প্রথম ওভারে রেজা হেনড্রিক্সকে সাজঘরে ফেরান তানজিম সাকিব।
এক ওভার পরে আরেক ওপেনার কুইনটন ডি কককে বোল্ড করেন এই তরুণ পেসার। প্রোটিয়াদের পরের আঘাতটা দেন তাসকিন আহমেদ। ৮ বলে ৪ রান করা মারক্রামের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন এই টাইগার পেসার।
নিজের তৃতীয় ওভারে ক্রিস্টান স্টাবসকে আউটকে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলেন তানজিম সাকিব। ২৩ রানে ৪ রান উইকেট হারায় তারা। এরপর দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার এবং হেইনরিচ ক্লাসেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে শুরু ধাক্কা সামলে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। পিচে থিতু হয়েই ছড়ি ঘোরাতে থাকেন ক্লাসেন। ১৮তম ওভারে এই ডান হাতি ব্যাটারকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান তাসকিন।
৪৪ বলে ৪৬ রান করেন ক্লাসেন। পরের ওভারে মিলারকে ফেরান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৩৮ বলে ২৮ রান করে এই বাঁহাতি ব্যাটার। ২০তম ওভারে মাত্র৪ রান দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে তানজিম তিনটি, তাসকিন দুটি ও রিশাদ একটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রাবাদাকে দুই বলে টানা দুটি চার হাঁকান তামিম। তবে তার করা ওভারের শেষ বলে উইকেটের পিছে ধরা পড়েন এ ওপেনার। ওপেনিংয়ে নামা তানজিদ হাসান তামিমের পর লিটন দাস ও সাকিব আল হাসানও ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষ হতেই। এরপরই আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
লো স্কোরিং ম্যাচ হলেও, নাসাউয়ের ড্রপ-ইন পিচ কতটা ভোগাচ্ছে দলগুলো সেটি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পিচে মূল লড়াইটা হয়ে পড়ছে বোলার বনাম বোলারের।