আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

স্কুলছাত্রী
স্কুলছাত্রী   © প্রতীকী ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে চারবার ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত মো. রনি (২০) আশুলিয়ার নিরিবিলির দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ও ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বড় ভাইয়ের ছোট বেলার বন্ধু।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত রনির মা বিদেশে থাকেন এবং বাবা দেলোয়ার অন্যত্র বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। মা বিদেশে ও বাবার অন্যত্র সংসার করায় খাবার সংকটে পড়েন অভিযুক্ত রনি। এ ঘটনায় বন্ধুর সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ওই স্কুলছাত্রীর ভাই। ৩ হাজার টাকা মাসিক চুক্তিতে নিজেদের সঙ্গে ৩ বেলা খাবারের চুক্তিতে অভিযুক্তকে খেতে দিতেন।

জানা গেছে, শুরুতে বাটিতে করে খাবার দিলেও এক পর্যায়ে বাসায় এসে বন্ধুকে খেয়ে যাওয়ার জন্য বলে ওই ছাত্রীর ভাই। এদিকে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ওই ছাত্রীর মার ফিরতে ফিরতে অনেক সময় রাত হয়ে যেতো। এভাবে ২০২০ সাল কেটে যায়।

আরও পড়ুন : কারাগারেই মারা গেল ৬ ছাত্র হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

২০২১ সালে অভিযুক্ত রনি কৌশলে বন্ধুর ছোট বোনের জামা পরিবর্তনের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ফাঁকা বাড়িতে প্রায়ই ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন ও প্রেমের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে চার বার ধর্ষণ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ক্রমেই অভিযুক্ত যুবকের অত্যাচার বাড়তে থাকে। ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে টাকাও হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত রনি। এ নিয়ে বাসায় ঝামেলা হলে মাকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন ওই স্কুলছাত্রী।

এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্তের বাবা টাকার বিনিময়ে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। স্থানীয়দের মাধ্যমে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকায় জোরপূর্বক আপোষনামাতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ