ভর্তির লটারি কাল
সরকারি স্কুলে আসনপ্রতি ৬ আবেদন, বেসরকারিতে ফাঁকা থাকবে সাড়ে ৭ লাখ আসন
লটারির ফল জানা যাবে অনলাইনে
- আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৮ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ PM
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন শেষ হয়েছে। এবার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসনসংখ্যার তুলনায় ছয় গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে, আর বেসরকারি স্কুলগুলোতে শূন্য আসন থাকবে সাত লাখেরও বেশি।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সফলভাবে আবেদন করেছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৪ জন শিক্ষার্থী। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাউশি সূত্র জানায়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট শূন্য আসন ১১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১টি। সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ১ লাখ ২১ হাজার ৩০টি। বিপরীতে আবেদন করেছে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৪ জন। ফলে সরকারি স্কুলে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৬টি।
আরও পড়ুন: স্কুলে ভর্তির লটারি কাল, ফল দেখা যাবে ঘরে বসেই
এদিকে বেসরকারি স্কুলে শূন্য ১০ লাখ ৭২ হাজার ২৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছে তিন লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন। সেই হিসেবে সব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেলেও ৭ লাখে ৩৬ হাজার ৫৫টি আসন শূন্যই থাকবে।
এর আগে, গত ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে চার হাজার ৪৮টি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এবার সরকারি স্কুলের সংখ্যা ৬৮৮টি এবং বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা তিন হাজার ৩৬০টি।
লটারির ফল জানার পদ্ধতি
ডিজিটাল লটারি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফল জানতে পারবেন। মাউশি জানিয়েছে, নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে ফল ডাউনলোড করা যাবে। এ ছাড়া মাউশির ফেসবুক পেজে লটারির কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ফলাফল ডাউনলোড করার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা তা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতির কাছে ই-মেইলে পাঠিয়ে মাউশিকে অবহিত করবেন। এরপর ভর্তি কমিটি সভা করে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
এ বছর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গিয়ে ফল জানতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনে দ্রুত ফলাফল জানা যাবে।