১০ সরকারি স্কুল-কলেজ নির্মাণে ধীরগতি, ৬ বছরেও শেষ হয়নি কয়েকটির মাটি ভরাট

নির্মাণ হচ্ছে সরকারি স্কুলের ১০তলা ভবন
নির্মাণ হচ্ছে সরকারি স্কুলের ১০তলা ভবন  © সংগৃহীত

ঢাকা ও আশপাশে ১০টি সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রকল্প ২০১৭ সালে অনুমোদন পেলেও ধীর গতিতে কাজ এগোচ্ছে। জানা গেছে, প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত ধরা হয়েছে। প্রকল্পের কার্যক্রম শুরুর ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। এমনকি হয়নি শেষ হয়নি কয়েকটি জমির মাটি ভরাটের কাজ। 

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে নতুন করে আরও ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে ‘ঢাকা শহরের সন্নিকটবর্তী এলাকায় ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। প্রকল্পটির অনুমোদন হয় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে, আর ২০১৮ সালের মে মাসে প্রকল্পে জনবল নিয়োগ ও কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৭ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০২১ সাল থেকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়। ৫টি জমিতে ১০০ শতাংশ ও দুটি প্রতিষ্ঠানের জমিতে ৯৫ শতাংশ মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানের জমিতে মাটি ভরাটের কাজ চলমান রয়েছে। আর বাকি দুই প্রতিষ্ঠানে এখনো মাটি ভরাটের কাজ শুরুই হয়নি। তবে জুলাই মাসের শেষ দিকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: নতুন করে আরও ৯টি ‘সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ চালুর উদ্যোগ 

এদিকে ১০টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থানীয় এলাকা বা মৌজার নামে ১০তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও দুটি জমিতে (কেরাণিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ) ভবন নির্মাণের কাজ ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তিনটি জমিতে (ধামরাই, নবীনগর ও হেমায়েতপুর) যথাক্রমে ৫০, ৫৫ ও ৬০ শতাংশ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪টি জমিতে (নারায়ণগঞ্জের জলকুড়ি, পূর্বাচল, আশুলিয়া ও খিলক্ষেত) এখনো ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরুই হয়নি। একটিতে ভবনের টেস্ট পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন ও লোড টেস্টের কাজ চলছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়াও ১০তলা ভবনগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাবসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে। প্রতিটি স্কুলে ২ হাজার ৭০০ করে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থাকবে।ইতোমধ্যে ৩টি প্রতিষ্ঠানে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করতে পদসৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে প্রকল্পটির পরিচালক। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কী নামকরণ হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। 

প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. মীর জাহীদা নাজনীন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ করতে সময় লেগেছে। পূর্বাচলের জমিতে কবরস্থান থাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। খিলক্ষেতের জমিতে মামলা থাকায় মাটি ভরাট শুরু করা হয়নি, তবে জুলাইয়ের শেষ দিকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে। আশা করছি ২০২৭ সালের জুন মাসের মধ্যে সব স্কুলের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারব। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১০টির ভেতর ৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর প্রত্যাশা করছি। প্রতিটি ভবনে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, আইসিটি ল্যাব, হলরুমসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকছে।


সর্বশেষ সংবাদ