দুই লাখ টাকা বাঁচাতে পারে কিডনি বিকল হওয়া স্কুল ছাত্র আল আমিনের জীবন

আল আমিন
আল আমিন  © টিডিসি ফটো

মাত্র দুই লাখ টাকা হলেই প্রাণে বেঁচে যেতে পারে কিডনি বিকল হওয়া আট বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থী আল আমিনের জীবন। যে বয়সে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করা, ছোটাছুটি করা, হৈহুল্লোড় করার কথা; সেই বয়সে কখনো বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে, কখনো মলিন মুখে বই খাতা নিয়ে ধীরে ধীরে স্কুলের দিকে পা বাড়াচ্ছে সে। কারণ দুটি কিডনিই তার অকেজো হওয়ার পথে। একটি কিডনি নষ্টের পর অপরটিও তিন ভাগের এক ভাগ নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন কথা বলছেন চিকিৎসক। 

বলছিলাম ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আল আমিনের কথা। সে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদীঘি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা হতদরিদ্র আব্দুর রহিম ও চাঁদনী খাতুন দম্পতির ছেলে।

আল আমিনের পিতা হতদরিদ্র আব্দুর রহিম জানান, ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছোট্ট আল আমিন গত কয়েক বছর ধরে তার পেটের ডান দিকে ব্যথার কথা বলতো। সংসারের অভাব-অনটনের মধ্যে ছেলেকে ভালো ডাক্তার দেখানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই গ্রাম্য চিকিৎসা দিয়েই শান্ত রাখার চেষ্টা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় মাসখানেক আগে আল আমিনের পেটের ব্যথা আরও তীব্র হলে ধার-দেনা করে টাকা জোগাড় করে বগুড়ায় এক ডাক্তারের নিকট নিয়ে যান। 

পরীক্ষা-নিরীক্ষার রির্পোট দেখে ওই ডাক্তার বলেন যে, তার ডান কিডনি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে এবং বাম কিডনির তিন ভাগের এক ভাগ নষ্ট হয়েছে। দ্রুত ঢাকার হাসপাতালে অপারেশন করাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় দুই লাখ টাকা। কিন্তু হতদরিদ্র রহিম-চাঁদনী দম্পতি এত টাকা পাবে কোথা থেকে। তাই বাড়িতে এসে অসুস্থ ছেলের দুশ্চিন্তায় ধুকে ধুকে দিন পার করছেন। 

আরও পড়ুন: হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল স্থগিত করলেন আদালত

এদিকে আল আমিন মাঝেমধ্যেই পেটের ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে আর যাওয়া হয় না তার। মাঝেমধ্যে স্কুলে যায়; তবে মনমরা হয়ে বসে থাকে। তার মা-বাবার শেষ ভরসা সমাজের বিত্তবানদের ওপর। তারা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়ত একটি সফল অপারেশনের মাধ্যমে প্রাণে বেঁচে যেতে পারেন তাদের আদরের আল আমিন। 

এ ব্যাপারে ময়দানদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতি দেখে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আল আমিনের পিতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার ছেলের কিডনি নষ্ট হয়েছে। তার পিতা-মাতা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ। আল আমিনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার স্বক্ষমতা তাদের নেই।’ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

অসুস্থ স্কুল ছাত্র আল আমিনকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
মো. আব্দুর রহিম (আল আমিনের পিতা) 
ময়দানদিঘী পূর্বপাড়া 
খানমরিচ ইউনিয়ন, ভাঙ্গুড়া, পাবনা। 
বিকাশ নম্বর: ০১৭৮৪৮৬০৬৬২


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!