মেডিকেলে প্রথম হওয়া মিমকে নিয়ে ৪ কোচিংয়ের টানাটানি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৫৬ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৪:২৫ PM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় সুমাইয়া মোসলেম মিমকে নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে চারটি কোচিং সেন্টার। চারটি কোচিং সেন্টারের দাবি মিম তাদের শাখায় কোচিং করেছেন। যদিও মিমের বাবার দাবি মিম ডিএমসি ড্রিমার্স নামক একটি কোচিং সেন্টারের খুলনা শাখায় কোচিং করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। প্রকাশিত ফলাফলে ২৯২ দশমিক ৫ পেয়ে সারাদেশের মধ্যে প্রথম হন মিম।
ফল প্রকাশের থেকেই মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের জন্য পরিচিত উন্মেষ, রেটিনা, মেডিকো এবং ডিএমসি ড্রিমার্স দাবি করে সুমাইয়া মোসলেম মিম তাদের কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছেন। বিষয়টি প্রমাণ করতে মিমের সাথে একাধিক ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিষয়টি জানতে প্রথমে যোগাযোগ করা হয় উন্মেষ কোচিং সেন্টারের সাথে। উন্মেষের হেল্প লাইন ফোন করা হলে ইমরান নামে একজন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, যারা ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করে তারা সব কোচিং সেন্টারের সাথেই কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত থাকে। সুমাইয়া মোসলেম মিম তেমনি ভাবে উন্মেষের সাথেও যুক্ত ছিল।
রেটিনা কোচিং সেন্টারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, যে যাই বলুক সুমাইয়া মোসলেম মিম রেটিনার খুলনা ব্রাঞ্চে কোচিং করেছেন। এ সংক্রান্ত ভিডিও আমাদের পেজে দেয়া আছে। আপনারা সেখান থেকে তথ্য নিয়ে দেখতে পারে।
মেডিকো কোচিং সেন্টারের দেয়া নাম্বারে কল দেয়া হলে তারা জানান, এ বিষয়ে কথা বলতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। পরে নম্বর চাইলে এসএমএস করে পাঠানোর কথা বললেও তা আর পাঠানো হয়নি।
মিমের কোচিং করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার বাবা মোসলেম উদ্দীন সরদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মিম কেবলমাত্র ডিএমসি ড্রিমার্স নামে একটি কোচিং সেন্টারের খুলনা ব্রাঞ্চে কোচিং করেছেন। এর বাইরে তিনি রেটিনা এবং উন্মেষে কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে রেটিনা এবং উন্মেষে নিয়মিত কোচিং করেননি তার মেয়ে।
তথ্যমতে, এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এক লাখ ৩৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছেন ৭৯ হাজার ৩৩৯ জন। সরকারি মেডিকেল পড়ার সুযোগ পেয়েছে ৪ হাজার ৩৫০ জন।