বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইবাদত

  © টিডিসি সম্পাদিত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে মানবতা আজ চরম সংকটে। নিরীহ নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ হাজার হাজার মানুষ নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ, যাদের অনেকে আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। ধ্বংস হয়েছে স্কুল, হাসপাতাল, বাজার, এমনকি শিশুদের খেলার মাঠও।

ঘরবাড়ি হারিয়ে লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন অস্থায়ী শরনার্থী শিবিরে—যেখানে খাবার, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার চরম সংকট বিরাজ করছে। মায়ের কোলে সন্তান নেই, সন্তানের ডাকে সাড়া দেয় না বাবা। প্রতিটি পরিবার হারিয়েছে কেউ না কেউ, প্রতিটি চোখে অশ্রু আর হৃদয়ে গভীর ক্ষতের চিহ্ন।

এই পরিস্থিতিতে নির্যাতিত ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়ানো শুধু রাজনৈতিক অবস্থান নয়—এটি একান্তভাবে মানবিকতা ও ন্যায়ের প্রশ্ন। নিরপরাধ মানুষের কান্না আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়, আর সেই বিবেক থেকেই আমাদের জেগে ওঠা উচিত। আজ যদি আমরা নীরব থাকি, তবে মানবতার পক্ষের ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

এ ক্ষেত্রে রয়েছে ধর্মীয় নির্দেশনা। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, মুমিন মুমিনের জন্য প্রাসাদসদৃশ, যার একাংশ অন্য অংশকে মজবুত করে। এরপর তিনি (হাতের) আঙুলগুলো (অন্য হাতের) আঙুলে (এই ফাঁকে) প্রবেশ করালেন। (বুখারি, হাদিস : ৬০২৬)

তাই তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা আমাদের সবার ঈমানি দায়িত্ব। তা ছাড়া মানুষের বিপদে এগিয়ে এলে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। যারা মানুষকে সাহায্য করে, আল্লাহও তাদের সাহায্য করেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আল্লাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ ঢেকে রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ২৪৪২)


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!