বেরোবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

বেরোবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন
বেরোবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন  © টিডিসি ফটো

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা।

পরে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, দপ্তর, আবাসিক হল, ইন্সটিটিউট, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বেরোবি শাখা), সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

এর আগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং সকাল ৯টায় কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন।

এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বিনামূল্যে ব্ল্যাড গ্রুপিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ।

দিবসটি পালন উপলক্ষে বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধীরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার পথ রুদ্ধ করে দেয়।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে সুন্দর একটি সমাজ গঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে উত্তর জনপদের মানুষকে পথ দেখাবে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আশা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে উত্তর জনপদের নেতৃত্বের সিংহভাগে থাকবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বক্তৃতা করেন। বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য আরো বক্তব্য রাখেন বেরোবি জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক উমর ফারুক, বেরোবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আপেল মাহমুদ, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম প্রমুখ।

এদিকে ১৫ আগস্টে নির্মমভাবে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ