জবিতে রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টার, জানেন না শিক্ষার্থীরা

জবি ডে কেয়ার সেন্টার
জবি ডে কেয়ার সেন্টার  © টিডিসি ফটো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শিশুদের জন্য চালু রয়েছে ডে-কেয়ার সেন্টার। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে না জানার কারণে পাচ্ছেন না সুবিধা।

গত ৩১ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা আক্তার পরীক্ষা দেয়ার সময় তার সন্তানকে কোলে নিয়ে আছেন ওই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম। পরীক্ষার সময় ছোট বাচ্চাকে রাখার কেউ না থাকায় কান্নাকাটি করলে এগিয়ে আসেন ওই শিক্ষক। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে-কেয়ার সেন্টার থাকলেও বিষয়টি জানেন না বলেন ওই শিক্ষার্থী। শুধু ফাতেমা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যাদের সন্তান রয়েছে, তারাও ডে-কেয়ার সেন্টার সম্পর্কে অবগত নয়।

জানা যায়, ছুটির দিন ব্যতিত সেন্টারটি প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ডে-কেয়ার সেন্টারে শিশুদের জন্য থাকা, খাওয়া, ঘুমানো, প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, খেলাধুলা, বিনোদন এবং প্রি-স্কুল সুবিধা রয়েছে। 
সেন্টারটিতে ৮টি রুম রয়েছে। সেখানে ২৫-৩০ জন শিশু রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন সেখানে গড়ে ১০-১৫ জন বাচ্চা জবির ডে-কেয়ার সেন্টারে থাকে। বাচ্চাদের সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে ৩ জন কর্মকর্তা। তবে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাচ্চারা থাকলেও নেই শিক্ষার্থীদের সন্তানরা। 

ডে কেয়ার সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক শাকিলা জামান সুবর্ণা বলেন, আমাদের এখানে অনেক বাচ্চাদের রাখার সুবিধা আছে। শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বাচ্চারা আসলেও আসে না শিক্ষার্থীর বাচ্চারা। এর মূল কারণ হতে পারে, শিক্ষার্থীরা এ সুবিধার কথা জানে না। তিনি আরও জানান, ভর্তিকৃত শিশুদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে কেয়ার সেন্টারে ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য মাসিক ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান সাপেক্ষে ডে-কেয়ার সেন্টারের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি ভর্তি ছাড়া খন্ডকালীন সময়ের জন্য তাদের বাচ্চাদের রাখতে চান, তাহলে আলাদাভাবে ফি প্রদান করতে হবে। 

এদিকে ডে-কেয়ার সেন্টারের আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের ডে-কেয়ার সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রতিটি বিভাগে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। বিভাগগুলো ভালো প্রচারণা করলে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে জানতে পারবেন। ডে-কেয়ার সেন্টারে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি শিশুদের ভালো সেবা দেয়ার জন্য। এখানে থাকা শিশুদের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ। 

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা  ও কর্মচারীদের জন্য এ ডে-কেয়ার সেন্টার ৭ মে ২০১৮ সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান উদ্বোধন করেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence