দর্শন বিভাগের আন্দোলনে ভোগান্তিতে সাত কলেজের পরীক্ষার্থীরা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২২, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২, ০৮:০৬ PM
তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। দর্শন বিভাগের তিনটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি করেন।
বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পরীক্ষা দিতে স্নাতক ৪র্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো ও যথাসময়ে বাসায় ফেরা নিয়েও ভোগান্তির অভিযোগ তুলেন তারা।
জানা গেছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২০২০ সালের স্নাতক ৪র্থ বর্ষ, দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২০১৯ সালের মাস্টার্স শেষ পর্ব ও দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্ব (বিশেষ) পরীক্ষা ছিল।
ইডেন মহিলা কলেজের মাস্টার্স শিক্ষার্থী পারভীন আক্তার বলেন, আমি ফার্মগেট থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত লেগুনায় এসেছি। কিন্তু পান্থপথ সিগন্যাল আসার পরেই যানজট শুরু। এরপর হেঁটে আমি পান্থপথ থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত আসতে ১টা বেজে যায়। আমার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ। নীলক্ষেত থেকে সেখানে পৌঁছাতে আরও আধঘণ্টা মতো লাগতো। দু’ঘণ্টার পরীক্ষায় দেড় ঘণ্টা পর কেন্দ্রে পৌঁছালে তো আর পরীক্ষা দিয়ে লাভ নেই। এ জন্য আমি আর পরীক্ষা কেন্দ্রেই যাইনি।
আরও পড়ুন : সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাবির পরিসংখ্যান বিভাগের মিলনমেলা শনিবার
ঢাকা কলেজের মাস্টার্স শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম বলেন, আমার পরীক্ষা কেন্দ্র ইডেন মহিলা কলেজে। ধানমন্ডি কলাবাগান থেকে হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট পর পৌঁছেছি। দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় লিখা শুরু করতে আধা ঘণ্টা চলে গেলে কিভাবে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায়? আমার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, সাত কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন। তাদের দাবিগুলো হল- করোনা বিবেচনায় সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন, দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন ও ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৮০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে এবং ২০ নম্বর ইনকোর্স এর মাধ্যমে যোগ করতে হবে। এছাড়া গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ নির্ধারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।