মাইগ্রেশন নিয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা, যা বলছে কর্তৃপক্ষ

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজে পরিসংখ্যান বিষয় নিয়ে তিতুমীর কলেজে ভর্তি হন জুনাইদুল আলম অন্তর। ভর্তি আবেদনের সময় পরিসংখ্যান তার পছন্দক্রমের পাঁচ নম্বরে ছিল। তবে দ্বিতীয় মাইগ্রেশনে অন্তরের মিরপুর বাংলা কলেজে বাংলা বিষয় এসেছে। যদিও বাংলা বিষয় পছন্দক্রমের ছয় নম্বরে দিয়েছিলেন তিনি।

নিয়ম অনুযায়ী মাইগ্রশন হলে অন্তরের ইংরেজি বিষয় পাওয়ার কথা ছিল। কেননা ভর্তির সময় অন্তর তার পছন্দক্রমের চার নম্বর বিষয় দিয়েছিলেন ইংরেজি। তবে সেটি না হয়ে তিনি বাংলা বিষয় পেয়েছেন। এতে চরম হতাশায় ভুগছেন অন্তর।

শুধু অন্তর নয়; ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দ্বিতীয় মাইগ্রেশন নিয়ে এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু টেকনিক্যাল কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। চূড়ান্ত মেধাতালিকায় বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করবেন তারা।

আরও পড়ুন: তীব্র সেশনজটের হতাশায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সাত কলেজে ভর্তির তৃতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। একই সাথে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় মাইগ্রেশন সম্পন্ন হয়। এই মাইগ্রেশন ‘অটোমেটেড’ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। সাত কলেজে ভর্তির নিয়ম অনুযায়ী মাইগ্রেশন সম্পন্ন হয় নিচ থেকে উপরের দিকে। প্রথম দফার মাইগ্রেশন এই নিয়ম অনুযায়ী হলেও দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশনে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলছেন, সাত কলেজের ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাইগ্রেশন হবে নিচ থেকে উপরের দিকে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা নিচের সাবজেক্ট থেকে উপরের সাবজেক্টে আসবে। তবে দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশনে অসংখ্য শিক্ষার্থী উপরের সাবজেক্ট থেকে নিচের সাবজেক্ট পেয়েছে। 

মেধাতালিকা প্রস্তুত কমিটি বলছে, প্রথম দফার মাইগ্রেশন শেষ হওয়ার পর প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনিত হয়েও টাকা পরিশোধ করেনি। ওই শিক্ষার্থীদের আসনগুলো ফাঁকা ধরেই দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে তাদের আবার ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। এতে করে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মাইগ্রেশন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করছেন তারা।

আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মাইগ্রেশন নিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনেছি। আশা করছি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি যে তালিকা দেয়া হবে সেখানে এর সমাধান হয়ে যাবে।

মাইগ্রেশন নিয়ে এমন সমস্যা তৈরির কারণ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, প্রথম দফার মাইগ্রেশনে অনেকে ভর্তি হয়নি। তখন ওই আসনগুলো ফাঁকা ছিল। পরবর্তীতে তারা কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করলে ভর্তির তাদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। এর জন্যই মূলত এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে এটি গুরুতর কিছু না। শিগগিরই এটি ঠিক হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: বিপিএল মাঠে ধুমপান করলেন আফগান ক্রিকেটার

তথ্যমতে, ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের বিজ্ঞান ইউনিটে ৬ হাজার ৫০০, বাণিজ্য ইউনিটে ৫ হাজার ৩১০ এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে সংখ্যা ১৪ হাজার ৩৫০টি আসন রয়েছে। সাত কলেজে মোট আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি।

গত ১৬ জানুয়ারি (রবিবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়। গত বছরের ৫, ৬ নভেম্বর সাত কলেজের বাণিজ্য, বিজ্ঞান অনুষদ এবং ১৩ নভেম্বর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ