খুবিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে ঈদ বস্ত্রবিতরণ

  © টিডিসি ফটো

কখনো ঝড়, কখনো বৃষ্টি, আবার কখনো তীব্র রোদের তাপে যেন স্পর্শহীন কাকতাড়ুয়া। এটি ক্যাম্পাসে ভ্যান চালকদের নিত্যদিনের চিত্র। শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের ডাইনিং–ক্যান্টিনে কর্মচারীরা সঠিক সময়ে খবার পরিবেশন করতে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ তারা যা উপার্জন করে হয়তো পরিবারের সকল সদস্যদের নতুন জামা কাপড় কিনে দিতে পারবে না।তবে কি তারা ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে?

পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এসব মানুষদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসের প্রায় ১৫০ জন গরীব দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে রিকশা চালক ও আবাসিক হলের ডাইনিং–ক্যান্টিনের কর্মচারীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন। পুরুষদের জন্য নতুন জামা এবং মহিলাদের জন্য শাড়ী বিতরণ করা হয়।

রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটির সভাপতি তৌসিফ ইয়াসির বলেন,চোখের সামনে যাদের কষ্ট করতে দেখি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভাল লাগছে এবং ভবিষ্যৎতে আমাদের কাজ ব্যাপকভাবে অব্যাহত থাকবে। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর আনিসুর রহমান বলেন, সংগঠনের বস্ত্র বিতরণ নিঃসন্দেহে ভাল কাজ এবং পরবর্তীতে এটা তোমরা ধরে রাখবে।

১২ বছর ধরে ক্যাম্পাসে রিকশা চালান শহিদুল ঢালি এবার ঈদে নতুন পোশাক পেয়ে অনেকটা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেন, ঈদে সন্তানদের নতুন পোশাক দিতে পারি না নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় সন্তানদের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের চাহিদা পূরণ করা হয় না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জ্ঞিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান,সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. তাসলিমা খাতুন ও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।


সর্বশেষ সংবাদ