গোবিপ্রবি
হল ক্যান্টিনের খাবারের মানোন্নয়ন না করেই রুমে রান্নায় নিষেধাজ্ঞা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
- গোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪২ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ AM

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( গোবিপ্রবি) হলগুলোতে আগামী সাতদিনের মধ্যে হিটার চুলা ও রাইস কুকার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার রান্নায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে হল ক্যান্টিনের খাবারের মান উন্নয়ন না করেই এ ধরনের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন হলের রুমে গিয়ে সতর্ক করা হয়।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ক্ষোভ প্রকাশ করে ইতিহাস বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল শাহরিয়ার লেখেন, ‘সম্মানিত হল প্রভোস্ট স্যারদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, একজন শিক্ষার্থী কম খরচে একটা মোটামুটি মানের স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য হলে ওঠে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের সবগুলো হলের জীবনমান অতি নিম্নমানের। জীবনমান অতি নিম্নমানের হওয়ার অন্যতম কারণ খাবারের মানের করুণ দশা।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে আসে, রান্না করতে না। পড়াশোনা, ক্লাস, ল্যাব, অ্যাসাইনমেন্ট এসবের পাশাপাশি রান্না কোনো শিক্ষার্থীই শখের বসে করে না। প্রত্যেক হল কর্তৃপক্ষ যদি শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত খাবার পরিবেশনে সক্ষম হয় তাহলে আশা করি কোনো শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ খরচ করে, নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করে রান্না করতে যাবে না।’
আরো পড়ুন: ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইউজিসি
হল প্রশাসনের গাফিলতির কথা উল্লেখ করে স্বাধীনতা দিবস হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সুজন বলেন, ‘হলের ডাইনিংয়ে যে খাবার সরবরাহ করা হয় তার মান পৃথিবীর সবচেয়ে নিম্নমানের। একজন শিক্ষার্থী নিয়মিত এই খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে যায়। আমি নিজেও কয়েকবার ফুড পয়জন হয়ে অসুস্থ হয়েছি। এ খাবার খাওয়ার অযোগ্য। কিন্তু দুঃখজনক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলের খাবারের মান উন্নয়ন না করেই শিক্ষার্থীদের রান্না করতে নির্দেশনা জারি করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, একজন শিক্ষার্থীর রান্না করে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও হলের রান্না খেতে পারে না বলেই এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে রান্না করতে হয়। আমি প্রশাসনকে বলবো আগে আপনারা হলের খাবারের মান উন্নয়ন করেন। তাহলে শিক্ষার্থীরা নিজ থেকেই রান্না বন্ধ করে দিবে।’
স্বাধীনতা দিবস হলের প্রোভোস্ট ড.মো. আব্দুল্লাহ আল আসাদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাল বলে আসছি খাবারের মান নিয়ে তাদের যে অভিযোগ তা সমাধান করা হবে। খাবারের মান উন্নয়ন করা হবে। সবাইকে আমি ডাইনিং মুখী হওয়ার জন্য বলেছি। খাবারের মান যাচাই করার জন্য আজ আমি নিজেও ডাইনিংয়ের খাবার খাচ্ছি। আমরা অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি।’