ইবিতে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা
উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা  © টিডিসি

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে অফিস চলাকালীন সময়ে দপ্তরে অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপাচার্যের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

আজ বুধবার (৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে প্রশাসন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা গোপন বৈঠক করছে, এমন সংবাদে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দেওয়ান টিপু সুলতানের কার্যালয়ে হাজির হন সমন্বয়করা। এ সময় তার কার্যালয়ে কেন সমিতির সেক্রেটারি এসেছিলেন এবং তার কক্ষের অপর কর্মকর্তাকে বাইরে বের করে দিয়ে তারা কী গোপন মিটিং করছিলেন, সে বিষয়ে জানতে চায় সমন্বয়করা। পরবর্তী সময়ে তাকে বেলা একটার মধ্যে নিয়মিত কাজ সেরে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশনা দেন।

এর পরই প্রশাসন ভাবনের বিভিন্ন দপ্তরে যান সমন্বয়করা। সেসব দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন তারা। এ সময় অধিকাংশ অফিসের কর্মকর্তাদের অনুপস্থিত পাওয়া যায়। পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে নম্বরপত্র ও সার্টিফিকেট উত্তোলনের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অভিযোগ পেয়ে সেখানেও হানা দেন সমন্বয়করা। পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আরও পড়ুন: আড়াই ঘণ্টা পর রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘যেখানে কর্মকর্তাদের শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার কথা, সেখানে আমরা ৪০-৫০ শতাংশ চেয়ার ফাঁকা পেয়েছি। এমনও হয়েছে যে ৪ জনের অফিসের সব কটি চেয়ার ফাঁকা কিংবা ১ জন আছে বাকি ৩ জন নেই। জিজ্ঞেস করলে বলেন, নিচে গেছে বা চা খেতে গেছে। রমজান মাসে কিসের চা খাওয়া, লাঞ্চে যাওয়া? কর্মকর্তাদের কাজ তাদের করতে হবে। আড্ডা দেওয়ার জন্য তাদের এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি৷ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যদি কোনো মিটিং করতে হয়, তাহলে অফিস টাইমে করা যাবে নইলে রাজনৈতিক মিটিং বিকেল চারটার পর করতে হবে।’

সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ফোরাম বা বিএনপি এগুলো দেখার বিষয় না। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে রেখে কর্মকর্তারা তাদের নিজস্ব কাজ চালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা হামেশাই বলে যে ইবিতে অনার্স-মাস্টার্স করার চেয়ে সার্টিফিকেট উত্তোলন করা কঠিন। এ ছাড়া বিভিন্ন অফিসে কর্মকর্তা দ্বারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া যায়। আপনি এগুলো সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন যেন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি না হয়।’

আরও পড়ুন: রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে শিবির সভাপতির বার্তা

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, ‘পরশুও আমি ভিজিট করেছি, সার্টিফিকেট তুলতে শিক্ষার্থীদের কাউকে ধরা লাগছে কি না, জিজ্ঞেস করেছি৷ আগে শুনেছি কাউকে ধরলে নাকি সার্টিফিকেট দ্রুত তোলা যেত। কর্মকর্তারা যদি প্রশাসনিক কাজ না করে, তাহলে এর ফল শিক্ষার্থীরা ভোগ করবে। দপ্তরে অনুপস্থিত থাকতে হলে তো ছুটি নিতে হবে। এখন কারা কারা আজকে অফিসে নাই, সেটা নোটডাউন করা হবে৷ রবিবারে এসে আমি সবাইকে শোকজ করব।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence