ইবিতে ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত 

 ইবিতে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়
ইবিতে হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়  © টিডিসি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বতটলা প্রাঙ্গণে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব আশরাফ উদ্দিন খান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বিশ্বনেতা বলে আমরা যাদের ভাবছি তারাই এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত উৎসাহদাতা বা মদদদাতা। তারা মনে করেছিল ইসমাইল হানিয়া বা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর মাধ্যমে মুসলমানদের সংগ্রাম থেমে যাবে। কিন্তু আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, মুসলমানদের স্বাধীনতার সংগ্রাম কখনো থেমে যাবে না। যেকোন মূল্যে দখলদার ইসরায়েলী বাহিনীর কবল থেকে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনতা তাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেবে। জাতিসংঘ সারা বিশ্বে শান্তির বাণী প্রচার করলেও ফিলিস্তিন বা গাজা ইস্যুতে নীরব থেকেছে।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনতা যুদ্ধ করছে। আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং আমাদের হৃদয়ের রক্ত তাদের সাথে আছে। এ ছাড়া সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুক্তিকামী জনতার পাশে আমাদের কণ্ঠস্বর উজ্জীবিত থাকবে। এই প্রত্যয় আমাদের থাকা উচিত, এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এই শহীদের শাহাদাৎকে আল্লাহ পূর্ণ মাত্রায় কবুল করুক এইটাই আমাদের প্রত্যাশা।আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার পাশে থাকব।’ 

উল্লেখ্য, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের একটি শরণার্থীশিবিরে জন্ম নেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তিনি ২০১৭ সালে গাজায় হামাসের নেতা নির্বাচিত হন। সিনওয়ার তার জীবনের অর্ধেক সময় ইসরায়েলি কারাগারে কাটিয়েছেন। হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর জীবিত থাকা হামাসের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা ছিলেন তিনি। ইয়াহিয়া সিনওয়ার ১৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় নিহত হন। হামলার পরদিন হামাস তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ