রাজনীতিতে যুক্ত না হওয়ার শপথ নিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
- যবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪২ PM , আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯ PM
রাজনীতি মুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) যে কোন ধরনের দলীয় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি না করা এবং অন্যদেরকেও করতে না দেওয়ার শপথ পাঠ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত ১৭ অক্টোবর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি গঠন করার লক্ষে টিম নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সে বিজ্ঞপ্তিতে যবিপ্রবির নাম থাকা এবং রাজনীতি প্রবেশের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা যে কোন ধরণের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি না করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনীতি মুক্ত রাখার জন্য শপথ পাঠ করেন। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতি বন্ধের দাবিও জানান।
বিক্ষোভ থেকে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সাব্বির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র রাজনীতি না থাকলেও কিছু গুঞ্জন পাওয়া যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার রাজনীতি নিয়ে আসার। এর কোনো সুযোগ আমরা দেব না। এছাড়া শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতি এখনো চলমান আছে। আমরা এনিয়েও সোচ্চার আছি। সব সিন্ডিকেট ভেঙে দেব আমরা।
পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, কেউ যদি রাজনীতি করতে চায় তাকে এই ৩৫ একরের বাইরে করতে হবে। আমরা কোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কোনো সুফল দেখিনি। তাই ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতি মুক্ত একটা ক্যাম্পাস চাই আমরা যেখানে সকলে একসাথে কাজ করতে পারবে।
পিইএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা কেউই রাজনীতির বিরুদ্ধে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের রাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা এই বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম হয়েছি। আমরা সেই জায়গাটা ধরে রাখতে চাই। সকলে মিলে একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে চাই। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি যেন তারা রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাসকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) 'রুলস অব ডিসিপ্লিন ফর স্টুডেন্ট' অনুসারে ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ১০৩ তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।