শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ছাত্রলীগের, প্রক্টর বললেন—সত্য নয়
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১ AM , আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৫ AM
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রক্টরের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রলীগ। তবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রক্টর নিজেই।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। বিকেল ৪টা থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল থেকেই ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসে আন্দোলনকারীদের চলে যাওয়ার আহবান জানান। তবে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেননি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ক্যাম্পাসে বাইরে যেতে নিষেধ করেন।
প্রক্টরকেও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ মিছিল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণার কথা জানান। ৫টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন অতিক্রম করে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে চাইলে অন্য শিক্ষকরা তাদের বাধা দেন। এ সময় প্রক্টরের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাদানুবাদ হয়।
পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রক্টর শরিফুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে থাকেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন। একপর্যায়ে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাক্কা দিয়ে দিয়ে এবং তাদের মাইক কেড়ে নেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে প্রক্টর শিক্ষার্থীদের হলে ফেরত পাঠান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কারণে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বানচাল হয়েছে। সারাদিন তাদের এ ‘অপচেষ্টা’ অব্যাহত ছিল। তবে কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
আরো পড়ুন: আজ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ কোটা সংস্কারপন্থি আন্দোলনকারীদের
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া বলেন, ‘কোটার নামে আন্দোলনকারীরা আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষককে (প্রক্টর শরিফুল ইসলাম) ধাক্কা দিয়েছে। এতে আমার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের বিচার চেয়েছে। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আদালত একটি রায় দিয়েছে উল্লেখ করে আমি তাদের আন্দোলন থেকে সরে আসার আহবান জানিয়েছি। এরপরও তারা বিক্ষোভ করেছে। কিন্তু আমরা এতে কোনো বাধা দিইনি। শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন থেকে হলে ফেরত পাঠিয়েছেন।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ওপর কেউ হামলা কিংবা ধাক্কা দেয়নি। আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে যেতে বললে তারা সরে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’