ইবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও শিক্ষার্থীদের

ইবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও
ইবি উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও  © টিডিসি ফটো

দখল করা শ্রেণিকক্ষ ছাড়ানোর চেষ্টার প্রতিবাদে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। কক্ষ বেদখল করতে গিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভাগের এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলেন তারা। পরে বিকেলে উপাচার্য আলোচনায় বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত হয়। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের নির্মাণাধীন শ্রেণিকক্ষের পরিদর্শনে যান উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী সহ ভিজিল্যান্স কমিটি। সেসময় তারা তৃতীয় তলার কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখেন। যার ফলে পরিদর্শন কাজ বাঁধাগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে তালা দেখে বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তালা খুলে দিতে বললে তারা তা করেননি।

প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কে এম শরিফ উদ্দীন বলেন, আমরা পরিদর্শনে গিয়ে দেখি তৃতীয় তলার রুমগুলো তালা দেওয়া। আর একটি রুমে কয়েকজন বসে আছে। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের তালা খুলে দিতে বললে তারা আমাদের কাজে বাঁধা দেন।

তিনি বলেন, ভবনটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। সেজন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ঠিকাদাররা বিলের আবেদন করেছে। তাদের বিল দেওয়া হবে তাই কাজ দেখতে গিয়েছিলাম আমরা। এদিকে রং ও ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন ঠিকাদাররা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে পাঁচটি ব্যাচ চলমান রয়েছে। গত ৬ বছর ধরে তারা ধার করা একটি শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছেন। শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে তারা রুম দখল করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকালে পরিদর্শনে গিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সকালে পরীক্ষা চলাকালে শ্রেণিকক্ষ নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের হেনস্তা করেছে প্রশাসন। এসময় ওই কক্ষে সজোরে লাথি মারেন তারা। পরে কক্ষগুলোর তালা খুলে দিতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে যান। যা শিক্ষকদের জন্য অপমান।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ১৫-২০ জনের একটি টিম পরিদর্শনে গেছে। এছাড়া দু'মাস পর ভবনটি আমরা বুঝে পাব। তারপর আমরা কক্ষগুলো বণ্টন করতে পারব। এভাবে তালা দিয়ে চলমান উন্নয়ন কাজে বাঁধা প্রদান একটি ফৌজদারি অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, শ্রেণিকক্ষ দরকার হলে শিক্ষার্থীরা আবেদন জমা দিবে। তাহলে কক্ষ বণ্টনের সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে নই। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (বুধবার) বসা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ