৫৭ সেকেন্ডে ১২ বার হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড বিএম কলেজছাত্রের

৫৭ সেকেন্ডে ১২ বার হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড বিএম কলেজছাত্রের
৫৭ সেকেন্ডে ১২ বার হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড বিএম কলেজছাত্রের  © টিডিসি ফটো

বাংলা গানে হুইসেল বা শিস বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ঝালকাঠির কুমার কাকন উজ্জ্বল। মাত্র ৫৭ সেকেন্ডে সবচেয়ে বেশিবার হুইসেল (শিস) বাজিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম তুললেন তিনি। পুরো বিশ্বের মধ্যে হুইসেল ক্যাটাগরিতে প্রথম বারের মতো "লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল" টাইটেলে এই রেকর্ড গড়েন তিনি। ৫৭ সেকন্ডে ১২ টা গানে হুইসেল বাজিয়েছেন কাকন।

কাকন ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ২০২২ সালে ভারত সরকারের অধীনে স্টাডি ইন ইন্ডিয়া (এসআইআই) স্কলারশিপ বিষয়ে ফুল-ফ্রি নিয়ে ব্যাঙ্গালুরের জেইন ইউনিভার্সিটি থেকে বায়োকেমিস্ট্রি জেনেটিক্স এন্ড বায়োটেকনোলজি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তিনি সেপ্টেম্বরে ভারতের বেঙ্গালুরে থেকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০২২ সালের  আবেদন করেন।

হুইসেল বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, কুমার কাকন উজ্জ্বল বাংলা গানে শিস বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় আমরাও আনন্দিত। শিস বাজিয়ে বাংলা গান গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার জন্য কুমার কাকন উজ্জ্বলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কুমার কাকন উজ্জ্বল ভবিষ্যতে আরও ভালো করুক। কাকন সহ বিএম কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের  জন্য শুভকামনা রইলো ।

f6b809d5-73b3-46ac-ba28-40895fcb31e1

কাকনের জন্ম ঝালকাঠি পৌর এলাকার সিটিপার্ক সড়কে। বাবা উত্তম কুমার রায় ঝালকাঠি পৌরসভায় চাকরি করেন। মা শিউলি রানী রায় পেশায় একজন আইনজীবী। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে কাকন বড়।

গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ইন্টারন্যাশনাল বুকস অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে ‘লংগেস্ট টাইম টু হুইসেল’ ক্যাটাগরিতে ভিডিও পাঠানোর পর চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি তা গৃহীত হয়। পরে গত মার্চে বিশ্বরেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশি এ তরুণ। ভারতের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। এ বছরের শেষের দিকে ইন্টার্নশিপ শেষ করে দেশে এসে শিস গান ও সংগীত নিয়ে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে তার।

57947f31-22a5-4a15-a0de-415f79a32d0b

কাকন বলেন, হুইসেল নিয়ে আমার পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালে। অনেকে পছন্দ করতো আবার অনেকে সমালোচনাও করেছে। কিন্তু আমি লেগে ছিলাম। হুইসেলের মাধ্যমে বাংলা গানকে পুরো বিশ্বের কাছে কীভাবে তুলে ধরা যায় সে চেষ্টা করেছি। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই আমি মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তাই শিস গান অথবা হুইসেল আমার আয়ত্ত করতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি। বাংলা সংস্কৃতিকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরাই হবে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। 

কাকনের বাবা উত্তম কুমার রায় বলেন, আমার ছেলে শিস বাজিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ায় বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। আমরা পরিবারের সবাই এবং স্বজন খুশি ও আনন্দিত। আমরা তাকে উৎসাহ জোগাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence