তাজহাট জমিদার বাড়ি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৫:৫২ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:০১ PM
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি এবং তাজহাট জমিদার বাড়ি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অন্তর্ভুক্তকরণের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সোমবার (৬মার্চ ২০২৩) প্রশাসনের কাছে গণস্বাক্ষরের স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
জানা যায়, নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে অবস্থিত। ইতিপূর্বে বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আত্মীকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল যাতে রোকেয়ার জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গবেষণার দ্বার উম্মোচন করা যায়। বিবিধ জটিলতার কারনে সে উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও চাকরিতে এখনও পিছিয়ে নারীরা
মহিয়সী বেগম রোকেয়ার জন্মভিটা তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বেরোবির আওতাধীন থাকা অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। তাজহাট জমিদার বাড়ি জাদুঘরে বেগম রোকেয়ার হস্তলিখিত চিঠিসহ রংপুর অঞ্চলের অনেক পুরাকীর্তি এবং শিল্পকর্ম রয়েছে। এসকল অমূল্য বস্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন হলে তা নিয়ে বৃহত্তর গবেষণা করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, রোকেয়ার বাড়ি এবং তাজহাট জমিদার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে থাকলে আমাদের গবেষণা এবং শিক্ষার অগ্রগতি আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বরেন্দ্র জাতীয় জাদুঘরে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ময়নামতি, শালবন বিহার প্রবেশ করতে প্রবেশ মূল্য দিতে হয় না। তাজহাট জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করতে প্রবেশ মূল্য দিতে হয় যা মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের একবেলা মিল খরচের সমান। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতে বিনামূল্যে তাজহাট জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর পরিদর্শন এবং গবেষণা করতে পারে সে বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ির দায়দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা স্বাভাবিক। আমি এটাকে সমর্থন করি। এটা যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে সেই মন্ত্রণালয় চেঞ্জ করা বড় কঠিন কাজ নয়। আমরা যদি এটিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হওয়া স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আমি ভিসি স্যারের সাথে আলোচনা করব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, তাজহাট ও রোকেয়ার বাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকলে শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে, শিক্ষার্থীরা এখান থেকে অনেক কিছুর গবেষণা করতে পারবে ও শিক্ষা লাভ করতে পারবে। এটা যেহেতু সরকারি একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে তাই অতি সত্বর বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ এটা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। অবশ্যই আমি এটা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলব।