গুচ্ছভুক্ত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা কত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০১:১৩ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৫ PM
দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন স্বল্পতার কারণে প্রতিবছরই স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য মেধার লড়াইয়ে নামতে হয় শিক্ষার্থীদের। আর চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিগত কয়েকবছরের মধ্যে সর্বাধিক হওয়ায় এর প্রভাব পড়বে ভর্তিযুদ্ধেও। বর্তমানে যেসব পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করে তাদের মধ্যে অন্যতম জিএসটি গুচ্ছের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। এ গুচ্ছে ২২টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিগত বছরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশী আসন রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২ হাজার ৭৬৫টি আসন রয়েছে। এদের মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ২৪৫টি, মানবিকে ৮৫০টি, বাণিজ্য শাখায় ৫২০টি এবং চারুকলায় ১৫০টি আসন রয়েছে। তবে চারুকলা অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগ অনুমোদন পাওয়ায় এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টির আসন সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির আসন সংখ্যা ২ হাজার ৯৫টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৫৫০টি, মানবিকে ১ হাজার ৯৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৪৫০টি আসন রয়েছে।
এছাড়া এক হাজারের বেশী আসন রয়েছে . শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
শাবিপ্রবিতে মোট ১ হাজার ৬৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ১ হাজার ৫০টি, মানবিকে ৫০৬টি এবং বাণিজ্যে ৮০টি আসন রযেছে। হাবিপ্রবিতে মোট ১ হাজার ৬৮৫টি আসন বয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ১২০৫টি, মানবিকে ২৮০টি এবং বাণিজ্যে ২০০টি আসন রয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৬০০টি, মানবিকে ৬২০টি এবং বাণিজ্যে ৩০০টি আসনসহ মোট ১৫২০টি আসন রয়েছে। বশেমুরবিপ্রবিতে বিজ্ঞানে ৭৫৫টি, মানবিকে ৫০০টি এবং বাণিজ্যে ২৫০টি আসনসহ মোট ১ হাজার ৫০৫টি আসন রয়েছে।
বেরোবিতে মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৫টি। এর মধ্যে বিজ্ঞানে ৭০৭টি, মানবিকে ৩৬২টি এবং বাণিজ্যে ৩২৬টি আসন রয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১১০৯টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানের জন্য ৭০৯টি, মানবিকের জন্য ১৬৯টি, বাণিজ্যের জন্য ১২০টি এবং সকলের জন্য উন্মুক্ত ১১১টি আসন রয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩৫০টি; মানবিকে ৪৫০ টি এবং বাণিজ্যে ২৪০টি আসনসহ মোট ১ হাজার ৪০ টি আসন রয়েছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ১৬০টি, মানবিকে ৭০০টি এবং বাণিজ্যে ২৩০টি আসনসহ মোট ১ হাজার ৯০টি আসন রয়েছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৭৩৩টি, মানবিকে ২৮টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৫৪টি আসনসহ মোট ৮১৫টি আসন রয়েছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯১০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৭২০টি মানবিকে ১০০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ১৩০টি আসন রয়েছে। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২০টি আসনের মধ্যে বিজ্ঞানে ৬৫০টি, মানবিকে ১৪৫টি এবং বাণিজ্য শাখায় ১২৫টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা ৭৩০ টি যার মধ্যে অধিকাংশ বিজ্ঞানের জন্য। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ১০০টি এবং বাণিজ্যে ৭৫টি আসনসহ মোট ১৭৫টি আসন রয়েছে।
এছাড়া, নবীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে একশটি আসন রয়েছে। এর মধ্যে সবগুলোই বিজ্ঞান শাখার জন্য। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৩০টি, মানবিকে ৩০টি এবং উন্মুক্ত ৩০টি আসনসহ মোট ৯০টি আসন রয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাখায় ১২০টি মানবিক শাখায় ৩০টি এবং বাণিজ্য শাখায় ৩০টি আসনসহ মোট ১৬০টি আসন রয়েছে, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০টি আসনের মধ্যে মানবিকে ১২৫টি এবং বাণিজ্যে ৭৫টি আসন রয়েছে। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে ৬৫টি, মানবিকে ৫টি এবং বাণিজ্যে ২০টি আসনসহ মোট ৯০টি আসন রয়েছে।